odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Monday, 20th October 2025, ২০th October ২০২৫

বিশ্ব নেতাদের চোখ কিমের দিকে: চীন, রাশিয়া, ভিয়েতনাম ও লাওসের প্রতিনিধি পিয়ংইয়াংয়ে

odhikarpatra | প্রকাশিত: ২০ October ২০২৫ ১৫:৩৯

odhikarpatra
প্রকাশিত: ২০ October ২০২৫ ১৫:৩৯

উত্তর কোরিয়ার শাসক দল, ওয়ার্কার্স পার্টি অব কোরিয়া (WPK) এ সপ্তাহে ৮০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করতে যাচ্ছে। দেশটির নেতা কিম জং উন বিদেশি অতিথিদের জন্য বিশেষভাবে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান আয়োজন করেছেন যেখানে সম্ভাব্যভাবে নতুন সামরিক প্রযুক্তি প্রদর্শিত হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। উত্তর কোরিয়ার সরকার উদযাপনের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি তবে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী রাজধানী পিয়ংইয়াং-এ একটি বৃহৎ আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সামরিক প্যারেড, বিশাল জনসমাগম এবং নিখুঁতভাবে অনুশীলিত প্রদর্শনী অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

ওয়ার্কার্স পার্টি অব কোরিয়া, কমিউনিজম ও কিম বংশের আদর্শের সমন্বয় দ্বারা দেশ পরিচালনা করে আসছে, এবং এই ধরনের বার্ষিকী অনুষ্ঠানে দেশটি প্রায়শই নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ও সামরিক প্রযুক্তি প্রদর্শন করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হ্বাসং-২০ ICBM, হ্বাসং-১১ Ma হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র, এবং অন্যান্য আধুনিক সামরিক প্রযুক্তি প্রদর্শনের সম্ভাবনা রয়েছে। এই উদযাপন কিমের সাম্প্রতিক কূটনৈতিক সাফল্যের পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যেখানে তিনি চীনের বৃহৎ সামরিক প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করে চীনা নেতা শি জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মঞ্চে উপস্থিত হয়েছিলেন। কিম চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে নতুন কৌশলগত সম্পর্ক স্থাপন করেছেন, এবং এতে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক কার্যক্রমে নতুন উদ্যম এসেছে।

চীন ও রাশিয়া এ বছর অনুষ্ঠানে তাদের সংখ্যার ২ নম্বর শীর্ষস্থানীয় প্রতিনিধিদের পাঠাচ্ছে। চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং এবং প্রাক্তন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট মেদভেদেভ অনুষ্ঠানে উপস্থি থাকবেন। এছাড়াও ভিয়েতনাম ও লাওসের শীর্ষ নেতারা এই উদযাপনে অংশ নিচ্ছেন। উত্তর কোরিয়ার সামরিক পারেডগুলি প্রায়শই নতুন প্রযুক্তি প্রদর্শনের সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সম্প্রতি কিম হ্বাসং-২০ ICBM-এর জন্য নতুন সলিড-ফুয়েল রকেট ইঞ্জিন পরীক্ষা করেছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সলিড-ফুয়েল ক্ষেপণাস্ত্র তরল-ফুয়েল ক্ষেপণাস্ত্রের তুলনায় অধিক স্থিতিশীল এবং সহজে গোপন রাখা যায়।

বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন কিমের বক্তব্যে ইঙ্গিতিত বিশেষ ক্ষমতা মূলত আধুনিক কৌশলগত অস্ত্র যেমন ট্যাকটিক্যাল নিউক্লিয়ার, হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র, এআই-চালিত ড্রোন এবং সাইবার প্রযুক্তি নির্দেশ করতে পারে। এই মন্তব্যগুলি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, উত্তর কোরিয়ার লক্ষ্য সরাসরি দক্ষিণ কোরিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও সেনা ঘাঁটিকে প্রভাবিত করা। যদিও কিম সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার মধুর স্মৃতি উল্লেখ করেছেন। তবে পারমাণবিক অস্ত্র পরিত্যাগের দাবি না রাখলে ওয়াশিংটনের সঙ্গে সংলাপের সুযোগ আছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন। এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কোঅপারেশন (APEC) শীর্ষ সম্মেলনেও ট্রাম্প ও কিমের সম্ভাব্য বৈঠককে কেন্দ্র করে উত্তেজনা রয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: