আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এশিয়ার সফরে একাধিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন যা রেয়ার আর্থ বা দুর্লভ খনিজ সম্পদের সরবরাহ নিশ্চিত করতে লক্ষ্য রাখছে। চীনের একচেটিয়া প্রভাব কমানোর উদ্দেশ্যে এই চুক্তিগুলো জাপান, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে করা হয়েছে। রেয়ার আর্থ খনিজগুলো ইলেকট্রিক ভেহিকেল, স্মার্টফোন ও উন্নত প্রযুক্তি উৎপাদনের জন্য অপরিহার্য। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনের আধিপত্য ভাঙতে নতুন খনি, প্রসেসিং প্ল্যান্ট ও রিফাইনিং সুবিধা তৈরি করা সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল এবং এটি বছরের পর বছর নিতে পারে। জাপানের সঙ্গে করা চুক্তিতে রয়েছে যৌথ বিনিয়োগ, রেয়ার আর্থ মজুদকরণ ও সরবরাহ শক মোকাবেলার জন্য একটি র্যাপিড রেসপন্স গ্রুপ গঠন। অন্যদিকে মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে চুক্তিগুলো আপাতত আনুষ্ঠানিক নয় তবে মার্কিন বাজারে রিয়ার আর্থ সরবরাহ নিশ্চিত করতে তারা সমর্থন জানিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ইতিমধ্যেই ৮.৫ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া পিরিয়ডিক টেবিলের মতো সমৃদ্ধ খনিজ সম্পদের দেশ হিসেবে বিবেচিত যা মার্কিন rare earth কৌশলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বিশ্লেষকরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, চীনের প্রক্রিয়াজাতকরণ ক্ষমতা এখনও বিশ্বের প্রায় ৭০% দখল করে রয়েছে। তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এই খনিজ সরবরাহে স্বাধীনতা অর্জন একটি দীর্ঘমেয়াদি, জটিল ও ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপ চীনের সঙ্গে কৌশলগত প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসনের এই রেয়ার আর্থ চুক্তিগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে চীনের একচেটিয়া প্রভাব থেকে কিছুটা মুক্ত করতে সাহায্য করবে। যদিও নতুন খনি ও প্রসেসিং সুবিধা তৈরি করা ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে যৌথ বিনিয়োগ মার্কিন কৌশলকে শক্তিশালী করছে। দীর্ঘমেয়াদে এটি বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খলাকে বৈচিত্র্য আনতে পারে তবে চীনের আধিপত্য পুরোপুরি ভাঙতে এখনও অনেক বাধা আছে।
-মো: সাইদুর রহমান (বাবু), বিশেষ প্রতিনিধি. অধিকারপত্র

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: