odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Sunday, 2nd November 2025, ২nd November ২০২৫
বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রত্নতাত্ত্বিক সংগ্রহশালা গ্র্যান্ড ইজিপশিয়ান মিউজিয়ামে ৭০ লাখ বর্গফুটে ছড়ানো ১ লাখেরও বেশি নিদর্শন; তুতানখামুনের স্বর্ণের মুখোশ, সিংহাসন ও রথ একসঙ্গে দর্শকদের সামনে।

মিসরের গ্র্যান্ড ইজিপশিয়ান মিউজিয়াম আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন হল আজ

Special Correspondent | প্রকাশিত: ১ November ২০২৫ ১৯:৪৪

Special Correspondent
প্রকাশিত: ১ November ২০২৫ ১৯:৪৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

প্রাচীন মিশরের ইতিহাসকে নতুন করে জীবন্ত করার প্রত্যয়ে গ্র্যান্ড ইজিপশিয়ান মিউজিয়াম (GEM) আজ আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করা হয়েছে। মহামারী রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আর্থিক সংকট সত্ত্বেও ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে নির্মিত এই বিশাল সংগ্রহশালা মিসরের সাংস্কৃতিক গৌরব হিসেবে দাঁড়াচ্ছে। বিশ্বখ্যাত তুতানখামুনের সম্পূর্ণ সমাধি এখন প্রথমবারের মতো এক জায়গায় প্রদর্শিত হচ্ছে। ব্রিটিশ প্রত্নতত্ত্ববিদ হাওয়ার্ড কার্টারের খননের পর থেকে সমাধিতে থাকা প্রায় ৫,৫০০ নিদর্শনের মধ্যে মাত্র ১,৮০০টি বিভিন্ন মিউজিয়ামে বিতরণ করা হয়েছিল। ডঃ তারেক তাওফিক GEM এর সাবেক প্রধান ও আন্তর্জাতিক ইজিপ্টোলজিস্ট সমিতির সভাপতি জানান, আমরা চেয়েছি দর্শকরা সমাধি পুরোপুরি দেখুক  যেভাবে এটি ১০০ বছর আগে কার্টার দেখেছিল। প্রদর্শনীতে রয়েছে তুতানখামুনের স্বর্ণের মুখোশ, সিংহাসন, রথ, ও বর্ম যা প্রায়শই দর্শকদের সবচেয়ে আকর্ষণীয় করে তোলে। এছাড়া ৪,৫০০ বছরের পুরনো খেফুরির সমাধি নৌকা এবং রামসেস দ্বিতীয় শাসকের ১৬ মিটার দীর্ঘ ও ১১ মিটার উচ্চতার ভাস্কর্যও রয়েছে। ৫ লাখ বর্গমিটার জায়গা জুড়ে বিস্তৃত GEM, যা প্রায় ৭০টি ফুটবল মাঠের সমান। তার বাহ্যিক অংশে হায়েরোগ্লিফিক খোদাই এবং অ্যালাবাস্টার দিয়ে তিনকোণাকৃতির ঢাল তৈরি করা হয়েছে। উচ্চতায় রাখা বড় জানালাগুলি দর্শকদের গিজার পিরামিডের অপরূপ দৃশ্য উপভোগের সুযোগ দেয়।

মিউজিয়ামটি প্রতি বছর প্রায় ৮ মিলিয়ন পর্যটক আকর্ষণ করতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। যা মিসরের পর্যটন খাতে নতুন গতি আনবে। মিসরের প্রাক্তন প্রত্নতত্ত্বমন্ত্রী ডঃ জাহি হাওয়াস GEM এর উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে রোজেটা স্টোন, লুভরের জোডিয়াক এবং বার্লিনের নেফারতিতি ভাস্কর্য ফেরানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এগুলি যেন উপহার হিসেবে ফেরত আসে মিসর যা বিশ্বের কাছে অনেক উপহার দিয়েছে সেই সব নির্দেশণ ফিরিয়ে দিতে হবে। GEM প্রমাণ করে মিসর নিজস্ব গবেষণা, সংরক্ষণ ও প্রদর্শন দক্ষতা অর্জন করেছে। এখন আমরা অবৈধভাবে নেওয়া নিদর্শনগুলো ফেরত চাই। ২০০৫ সালে নির্মাণকাজ শুরু হওয়া GEM-এর উদ্বোধন প্রাচীন মিশরের ইতিহাস, সংরক্ষণ ও সমসাময়িক সাংস্কৃতিক সাফল্যের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা। ডঃ তাওফিকের ভাষায়, এটি কেবল প্রাচীন ইতিহাস নয় এটি আধুনিক মিসরের অর্জনও প্রদর্শন করে।

-মো: সাইদুর রহমান (বাবু), বিশেষ প্রতিনিধি. অধিকারপত্র



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: