অধিকারপত্র.কম
নিউইয়র্ক, ৬ নভেম্বর ২০২৫
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রকাশ্য সমর্থনও সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু ক্যুমোকে মেয়র নির্বাচনে জয়ের মুখ দেখাতে পারেনি। মঙ্গলবারের নির্বাচনে নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদে বিপুল ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন বামপন্থী নেতা জোহরান মামদানি।
আইবিএন নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্যুমোর প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা ও প্রভাব থাকা সত্ত্বেও শহরের ভোটাররা এবার নতুন নেতৃত্ব ও পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, ক্যুমোর পরাজয়ের প্রধান কারণ তাঁর অতীত বিতর্ক, বিশেষ করে কোভিড সময়ে নার্সিং হোমে মৃত্যুর তথ্য গোপন ও একাধিক যৌন হয়রানির অভিযোগ। এসব বিষয় ভোটারদের চোখে তাঁকে পুরনো রাজনীতির প্রতীক বানিয়েছে।
অন্যদিকে, জোহরান মামদানির প্রচারণা ছিল তরুণ, তৃণমূলনির্ভর ও ইস্যুভিত্তিক। তিনি ভাড়া স্থির রাখা, ধনীদের ওপর কর বৃদ্ধি, সাধারণ মানুষের জন্য সামাজিক সুরক্ষা বৃদ্ধির মতো ইস্যুতে প্রচার চালান। এতে তরুণ ও মধ্যবিত্ত ভোটারদের বিপুল সমর্থন পান।
নির্বাচন শেষে ক্যুমো বলেন, “ফলাফল হতাশাজনক হলেও আমি লড়াই চালিয়ে যাব। নিউইয়র্ক আমার বাড়ি, আমি এখানকার মানুষের জন্য কাজ চালিয়ে যাব।”
অন্যদিকে, বিজয়ী জোহরান মামদানি বলেন, “এটা শুধু আমার নয়, এটা নিউইয়র্কের সাধারণ মানুষের জয়। আমরা দেখিয়ে দিয়েছি, শহরের ভবিষ্যৎ ঠিক করবে জনগণ, কোনো কর্পোরেট নয়।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ফলাফল নিউইয়র্ক রাজনীতিতে নতুন যুগের সূচনা করেছে—যেখানে পুরনো ও প্রভাবশালী নেতাদের জায়গা নিচ্ছে তরুণ ও প্রগতিশীল নেতৃত্ব।
ট্রাম্পের প্রকাশ্য সমর্থনও কাজে আসেনি সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু ক্যুমোর জন্য। নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে তরুণ প্রগতিশীল নেতা জোহরান মামদানি পেয়েছেন ব্যাপক বিজয়, শুরু হয়েছে রাজনীতির নতুন অধ্যায়।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: