অধিকারপত্র ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার-এ-লাগো রিসোর্টে এক গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে গাজা যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ, হামাসের নিরস্ত্রীকরণ এবং ইরান ইস্যু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে ট্রাম্প কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, হামাস যদি দ্রুত নিরস্ত্রীকরণ না করে, তবে তাদের "চরম মূল্য" (Hell to pay) দিতে হবে।
বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয়:
* গাজা যুদ্ধবিরতি: গাজা শান্তি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে দুই নেতা আলোচনা করেন। ট্রাম্প জানান, হামাসকে অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে। হামাস নিরস্ত্রীকরণে রাজি না হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে বলে তিনি সতর্ক করেন।
* ইরান ইস্যু: ইরান যদি পুনরায় তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শুরু করার চেষ্টা করে, তবে যুক্তরাষ্ট্র তা ধ্বংস করে দেবে বলে ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দেন।
* পশ্চিম তীর ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা: দুই নেতা পশ্চিম তীর এবং হিজবুল্লাহর গতিবিধি নিয়েও কথা বলেন। ট্রাম্প উল্লেখ করেন যে, কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য থাকলেও তারা একটি সাধারণ সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সক্ষম হবেন।
ইসরায়েল পুরস্কারে ভূষিত হচ্ছেন ট্রাম্প:
এই বৈঠকের একটি উল্লেখযোগ্য দিক ছিল প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বড় ঘোষণা। ইসরায়েলের প্রতি ট্রাম্পের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে ইসরায়েলের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান 'ইসরায়েল প্রাইজ' (Israel Prize for Peace) প্রদান করা হবে। উল্লেখ্য, এই প্রথম কোনো অ-ইসরায়েলি নাগরিককে এই সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে।
সম্পর্কের নতুন মাত্রা:
বৈঠক শেষে ট্রাম্প নেতানিয়াহুকে একজন "শক্তিশালী নেতা" হিসেবে অভিহিত করেন এবং দাবি করেন যে, নেতানিয়াহু প্রধানমন্ত্রী না থাকলে আজ হয়তো ইসরায়েলের অস্তিত্ব থাকত না। অন্যদিকে, নেতানিয়াহু ট্রাম্পকে ইসরায়েলের ইতিহাসের "সেরা বন্ধু" হিসেবে বর্ণনা করেন।
বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণ:
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই বৈঠকের মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসন মধ্যপ্রাচ্যে তাদের প্রভাব আরও সুসংহত করতে চাইছে। বিশেষ করে হামাসকে নিরস্ত্রীকরণের মাধ্যমে গাজায় একটি স্থায়ী রাজনৈতিক কাঠামো তৈরির ওপর জোর দিচ্ছে ওয়াশিংটন।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: