
আগামীকাল আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস উপলক্ষে আজ বৃহষ্পতিবার দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, খেলাধুলা সাংস্কৃতিক বিকাশকে ত্বরান্বিত করে। অপরাধ প্রবণতা কমায়। খেলাধুলা যুবসমাজকে বিপথগামী হওয়া থেকে রক্ষা করে। মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থেকে দূরে রাখে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খেলাধুলা একটি শিল্প। খেলাধুলার মূল কথাই হলো প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব সৃষ্টি করা। সুস্থ-সবল দেহ-মন এবং দেশ ও জাতির প্রতি ভালবাসা তৈরিতে খেলাধুলা অপরিহার্য। খেলাধুলা শৃঙ্খলাবোধ, অধ্যবসায়, দায়িত্বজ্ঞান, কর্তব্যপরায়ণতা ও সহনশীলতার শিক্ষা দেয়।
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস উপলক্ষে ক্রীড়াবিদ, ক্রীড়ানুরাগীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান এবং আনন্দ প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করেছে, তখনই খেলাধুলাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। আমরা গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত বিভিন্ন ক্রীড়া অবকাঠামো নির্মাণ করেছি। উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত স্টেডিয়াম নির্মাণ, অবকাঠামো উন্নয়নসহ উন্নত প্রশিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছি।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষা ও ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানে খেলাধুলার সরঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন হচ্ছে। জাতীয় পর্যায়ে একাধিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। আমরা খেলাধুলার প্রসারে আর্থিক অনুদান বৃদ্ধি করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, বিকেএসপি ও শারীরিক শিক্ষা কলেজসমূহের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এখন আমাদের ক্রীড়াবিদরা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছে। তিনি আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস ২০১৮-এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: