ঢাকা | রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২
সিরিয়া নিয়ে কি পরাশক্তিগুলোর মধ্যে যুদ্ধ বাধবে?

সিরিয়া নিয়ে আসলে কি করতে চান ডোনাল্ড ট্রাম্প ?

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ৮ এপ্রিল ২০১৮ ২০:২৬

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ৮ এপ্রিল ২০১৮ ২০:২৬

আরো পড়তে পারেন:

সিরিয়া নিয়ে আসলে কি করতে চান ডোনাল্ড ট্রাম্প ?

সিরিয়া নিয়ে কি পরাশক্তিগুলোর মধ্যে যুদ্ধ বাধবে?

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনাদের শিগগিরই ফিরিয়ে নেয়ার কথা বললেও সেটা এখনই বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না।

কারণ সেখানে জঙ্গি সংগঠন আইএস এর ঝুঁকি রয়েছেই। অন্যদিকে রাশিয়া, ইরান এবং তুরস্কের অবস্থানের কারণে সিরিয়ায় নতুন মেরুকরণ হচ্ছে।

সবমিলিয়ে সিরিয়া নিয়ে জটিলতা বাড়ছে।

এমন প্রেক্ষাপটে মি: ট্রাম্প চাইলেও সিরিয়া থেকে শিগগিরই মার্কিন সেনাদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে কিনা, সেই প্রশ্ন এখন উঠছে।

দেখা গেছে, গত সপ্তাহেই ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনাদের দ্রুত সরিয়ে আনার কথা বলেছিলেন।

অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি তাঁর অবস্থান পাল্টিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, মি: ট্রাম্প নিরাপত্তা পরিষদ এবং উপদেষ্টাদের সাথে যে বৈঠক করেছেন, সেখানে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস এর ঝুঁকির বিষয় আলোচনায় এসেছে।

আর এই আলোচনায় উপদেষ্টারা আইএস এর ঝুঁকি সম্পর্কে মি: ট্রাম্পকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন।

সেকারণে তিনি অবস্থান থেকে সরে এসে সিরিয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য মার্কিন সেনাদের রাখতে রাজি হয়েছেন বলা হচ্ছে।

সিরিয়ায় প্রায় দুই হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে।

পূর্ব সিরিয়ায় কুর্দিস এবং আরব মিলিশিয়াদের সম্মিলিত বাহিনী সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্স নাম নিয়ে আইএস এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে।

তাদের সমর্থনে কাজ করছে মার্কিন সৈন্যরা।

জটিলতা আসলে কোথায়?

মার্কিন সেনারা তাদের স্থানীয় মিত্রদের সাথে পূর্ব সিরিয়া দখলে নিয়েছে।

কিন্তু আইএস যে নির্মূল হয়েছে, সেটা কেউ বলতে পারছে না।

আইএস এর ঝুঁকি থাকছেই। তারা সিরিয়ার অন্য এলাকায় সরে পড়েছে।

ফলে যুদ্ধ শেষ হয়ে গেছে বলে মি: ট্রাম্প যা বলছেন, মাঠে সেই পরিস্থিতি এখনও হয়নি।

সিরিয়ায় যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্বপূর্ণ একটি শক্তি। তবে যুক্তরাষ্ট্র সেখানে মুল ভূমিকায় নেই।

যদিও তুরস্ক এবং রাশিয়া ও ইরান সিরিয়ায় যুদ্ধক্ষেত্রে পরস্পর বিরুদ্ধ পক্ষকে সমর্থন দিচ্ছে।

কিন্তু এই তিন দেশ শীর্ষ বৈঠক করে সিরিয়ায় স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ ত্বরান্বিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

তাদের এই অবস্থান নতুন মেরুকরণ বলে বলা হচ্ছে।

দেশ তিনটির সৈন্যরা সিরিয়ায় দীর্ঘ সময় থাকবে সেই ইঙ্গিতও তারা দিয়েছে।

এ ধরণের পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যদেরও অনির্দিষ্টকালের জন্য সিরিয়ায় থাকতে হতে পারে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: