ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫, ২৭ চৈত্র ১৪৩১
ক্যাথলিক চার্চগুলোর যাজকদের হাতে শিশু নির্যাতন বন্ধ করা যাচ্ছে না কেন? এই প্রশ্ন নতুন করে সামনে এসেছে এই গ্রেফতারের ঘটনার পর।

পোপ ফ্রান্সিসের বিভিন্ন পদক্ষেপের পরও ধর্মযাজকদের হাতে হাতে শিশুদের যৌন হয়রানি বন্ধ করা যাচ্ছে না কেন? ?

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ৮ এপ্রিল ২০১৮ ২২:৫০

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ৮ এপ্রিল ২০১৮ ২২:৫০

ক্যাথলিক চার্চগুলোর যাজকদের হাতে শিশু নির্যাতন বন্ধ করা যাচ্ছে না কেন?ভ্যাটিকানের পুলিশ শিশু পর্নোগ্রাফির অভিযোগে একজন ধর্মযাজককে গ্রেফতার করেছে।

ভ্যাটিকানের একজন সাবেক কূটনীতিককে গ্রেফতার করা হয়েছে শিশু পর্নোগ্রাফির অভিযোগে           ভ্যাটিকানের একজন সাবেক কূটনীতিককে গ্রেফতার করা হয়েছে শিশু পর্নোগ্রাফির অভিযোগে

এই প্রশ্ন নতুন করে সামনে এসেছে এই গ্রেফতারের ঘটনার পর।কার্লো আলবার্টো ক্যাপেলা নামের এই যাজক যুক্তরাষ্ট্রে ভ্যাটিকানের কূটনীতিক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।এক বিবৃতিতে ভ্যাটিকান কর্তৃপক্ষ বলেছে, অভিযোগ তদন্তের পর এই যাজকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। আর সেই গ্রেফতারি পরোয়ানার ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা ভ্যাটিকানকে জানিয়েছিলেন যে, ভ্যাটিকানের এই কূটনীতিক পর্নোগ্রাফি আইন অমান্য করে থাকতে পারেন।সেই অভিযোগের তদন্ত করে এখন তাঁকে গ্রেফতার করা হলো।২০০৪ সালে তিনি যাজকের পাশাপাশি ভ্যাটিকানের কূটনীতিক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন।যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে সেখান থেকে ফেরত আনা হয়েছিল ২০১৭ সালে।ফ্রান্সিস পোপ নির্বাচিত হওয়ার পর পরই সেই ২০১৩ সালে শিশুদের যৌন নির্যাতন বন্ধ করে তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।কিন্তু খুব একটা লাভ হয়নি।গত বছরেরই যাজকদের হাতে শিশু নির্যাতনের শত শত অভিযোগ আসে। সেই প্রেক্ষাপটে ২০১৭ সালেই পোপ ফ্রান্সিস যৌন নির্যাতন বা হয়রানির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন।এই ঘোষণার চিঠি পাঠানো হয়েছিল বিশ্বের ক্যাথলিক চার্চগুলোর যাজকদের কাছে।তাতে পোপ ফ্রান্সিসের বক্তব্য ছিল, "আমি চাই আমাদের কেউ যেন এ ধরণের জঘন্য অপরাধ না করে।যৌন নির্যাতনের এই অপরাধ এমন এক পাপ, যা আমাদের লজ্জিত করে।"তারপরও কিন্তু যাজকদের হাতে শিশু নির্যাতনের অভিযোগ উঠছে।ক্ষতিগ্রস্তদেরই অনেকে মনে করেন, নানান পদক্ষেপের কথা পোপ বলেছেন ঠিকই, কিন্তু অভিযুক্তদের জবাবদিহিতার মুখোমুখি করা সম্ভব হয়নি।সেকারণে যাজকদের হাতে শিশু নির্যাতন পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: