ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই শুরু হয় বৃষ্টি

গণপরিবহন সংকট,  শেষ বিকালের বৃষ্টিতে ভোগান্তি

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ১৪ এপ্রিল ২০১৮ ২২:৪৭

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ১৪ এপ্রিল ২০১৮ ২২:৪৭

পহেলা বৈশাখ এমনিতেই রিকশা ও অটোরিকশায় ছিল বাড়তি ভাড়া আদায়ের দিন।তার ওপর বৃষ্টি হওয়ায় রিকশা ভাড়া আরও বেড়ে যায়। অনেককে রিকশা চালকদের সঙ্গে তর্কেও জড়াতে দেখা গেছে। কেউ কেউ কোন প্রশ্ন না করেই রিকশায় উঠে গেছেন বৃষ্টির হাত থেকে নিজেদের ও পরিবারের সদস্যদের রক্ষা করতে।
অনেকে বৈশাখের প্রথম দিন আবহাওয়ার দ্বৈত চরিত্রে অবশ্য খুশিও হন। অনেকে ইচ্ছে করেও বৃষ্টিতে ভিজেছেন।
পুরান ঢাকার সরকারি নজরুল ইসলাম কলেজের শিক্ষার্থী বিপ্লব কুমার এবং তার বন্ধুরা এসেছিলেন রমনায় ঘুরতে। তারা সবাই মোবাইল ফোন পলিথিনে মুড়িয়ে পকেটে নিয়ে বৃষ্টিতে রমনা পার্কে হেঁটেছেন।
বিপ্লব বলেন, ‘সকালের রোদের মজা পেয়েছি, এখন বৃষ্টির মজা পাচ্ছি। বৃষ্টি হয়েছে ভালো হয়েছে। খুবই উপভোগ করছি।’
তিনি বলেন, ‘ঝড়-বৃষ্টি না হলে কিসের বৈশাখ!’

পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে দুপুরের পর পরিবার-পরিজন নিয়ে রাজধানীর বিনোদনকেন্দ্রগুলোর দিকে অনেকেই রওয়ানা হয়েছিলেন। গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই শুরু হয় বৃষ্টি। এরপরও উৎসবের আমেজে তারা ঘরে ফেরেননি। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি বাড়ায় অনেকেই বিনোদনকেন্দ্র, পার্কে আটকা পড়েন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ভিজে ভিজেই ঘরে ফিরেছেন। তবে ফেরার সময় তারা গণপরিবহন পাননি। রিকশা ও সিএনজি চালিত অটোরিকশায় বেশি ভাড়া দিয়ে ঘরে ফিরতে হয়েছে অনেককে।

আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, ঢাকায় শনিবার বিকালে ৩০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। রাজধানীর কিছু সড়কে পানিও জমে গিয়েছিল।
বাংলা নববর্ষের উৎসবের আনন্দ ভাগাভাগি করতে সকাল থেকে রাজধানীর সব এলাকার মানুষের গন্তব্য ছিল মূলত রমনা পার্ক ও শাহবাগ এলাকা। তবে দুপুরের পর মহানগরীর সব এলাকার মানুষ নিজ নিজ এলাকার কাছাকাছি বিনোদনকেন্দ্র, পার্ক ও খোলা জায়গায় বেড়াতে বের হয়েছিলেন। এমন সময় বৃষ্টি নামে। শুরুতে টিপটিপ, পরে বজ্রবাতাসসহ টানা বৃষ্টি হয় প্রায় ঘণ্টা দুই। এতে মানুষজন বিভিন্ন জায়গায় আটকা পড়েন।
শ্যামলীর শিশুমেলার সামনে, গুলশান, হাতিরঝিল, দিয়াবাড়ী, মিরপুর বেড়িবাঁধ, আফতাব নগর, রায়েরবাজার, রমনা, শাহবাগ ও টিএসসিতে দর্শনার্থীরা বৃষ্টির সময় বিভিন্ন গাছ নিচে, টং দোকান বা দোকানের সামনের ছাউনিতে আশ্রয় নেন। তবে মানুষের সংখ্যার তুলনায় আশ্রয় নেওয়ার জায়গা ছিল কম। তাই অনেককেই ভিজতে হয়েছে। কেউ কেউ ভিজে রিকশায়ও ঘুরেছেন।
দুই ঘণ্টার বৃষ্টিতে মহানগরীর বেশকিছু সড়কে পানি জমে। শ্যামলী, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, রামপুরা, শ্যামপুর, কমলাপুর, মিরপুর, বাড্ডার নামা এলাকা ও যাত্রাবাড়ীর কিছু এলাকার সড়ক ডুবে যায়। এতে করে ওইসব এলাকায় যানচলাচল কমে যায়। যারা পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বের হয়েছিলেন তাদের পড়তে হয় ভোগান্তিতে। গণপরিবহনের সংকট দেখা দেয়।
এক রমনা পার্কেই আটকা পড়েন সহস্রাধিক মানুষ। তারা বিভিন্ন প্রবেশ ফটক ও বিশ্রামাগারে আশ্রয় নেন।

বিকালে পরিবার নিয়ে বের হয়েছ। কিন্তু সন্তানেরা কেউ আনন্দ করতে পারলো না। এখানে আসার পরই বৃষ্টি শুরু হয়েছে।’
 বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু কোনও বাস পাচ্ছিলেন না।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: