মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে স্বেচ্ছায় এ রোহিঙ্গা পরিবার ফেরত গেছে। তার পরিবারের ৬ সদস্যের মধ্যে ৫ জনকে ফেরত গেছেন। তুমব্রু নোম্যানস ল্যান্ডে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, শনিবার গভীর রাতে সবার অজান্তে তারা মিয়ানমার ফেরত গেছে।
তুমব্রু নো-ম্যানস ল্যান্ডে বসবাসরত রোহিঙ্গা এরফান বলেন, ‘আজ (শনিবার) গভীররাতে আকতার আলম তার পরিবার নিয়ে সবার অজান্তে মিয়ানমারে ফেরত গেছে। মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে চুক্তি করে তিনি মিয়ানমারে ফেরত গেছেন।’
গত বছরের ২৪ আগস্ট রাতে রাখাইনে সহিংস ঘটনার পর অন্যান্য রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন আকতার। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু এলাকায় এক ইউপি সদস্যের বাড়ি ভাড়া নিয়ে তিনি এতদিন বাংলাদেশে ছিলেন।
খালেদ হোসেন নামের আরেক রোহিঙ্গা নেতা জানান, মিয়ানমারের ফেরত যাওয়া আকতার আলমের ২ ছেলে, ২ মেয়ে সহ পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৬ জন। এরমধ্যে এক মেয়েকে রেখে ৫ জনকে নিয়ে মিয়ানমারে ফেরত গেছেন তারা। তবে এক সন্তানকে রেখে যাওয়ার কারণ জানা যায়নি। তাদের ফেরত যাওযার বিষয়টি অন্যান্য রোহিঙ্গারা জানতো না। মিয়ানমার গিয়েই তারা এনভিসিকার্ড সংগ্রহ করেছে বলে জানা গেছে।
নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নে তমব্রু সীমান্তের নোম্যানস ল্যান্ডে প্রায় ৬ হাজার রোহিঙ্গা পরিবার বসবাস করছিল।
কক্সবাজার শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন বিষয়ক কমিশনার আবুল কালাম বলেন, ‘আকতার নামে এক রোহিঙ্গা নাগরিক তার পরিবার নিয়ে মিয়ানমার ফেরত গেছেন বলে আমি শুনেছি। এটা প্রত্যাবাসনের আওতায় পড়ে না। তমব্রু সীমান্তের নোম্যানস ল্যান্ডে প্রায় ৬ হাজার রোহিঙ্গা পরিবার রয়েছে। ওই পরিবারগুলো প্রত্যবাসনের আওতায় পড়ে না। এজন্য মিয়ানমার সরকারকে আগে থেকেই বলা হচ্ছে ওই পরিবারগুলো ফেরত নেওয়ার জন্য। কিন্তু তারা সবাইকে ফেরত না নিয়ে শুধু একটি পরিবারকে নিয়ে গেছে।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: