ঢাকা | রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

ভারতীয় নীতিনির্ধারকদের বাংলাদেশের মানুষের প্রতি  শ্রদ্ধা না থাকলে সম্পর্ক খারাপ হবে:আমির খসরু

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ২০ এপ্রিল ২০১৮ ১৯:২০

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ২০ এপ্রিল ২০১৮ ১৯:২০

ভারতীয় গবেষকরা  বলছেন, এই নির্বাচন আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারে। আবার বলা হয়েছে, নির্বাচনকে 'বিশ্বাসযোগ্য' করাই হবে বড় চ্যালেঞ্জ।

আওয়ামী লীগের প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা                             আওয়ামী লীগের প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ভারতের একটি প্রভাবশালী গবেষণা প্রতিষ্ঠান অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করার পর বিএনপির এক নেতা বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের প্রতি যদি ভারতীয় নীতিনির্ধারকদের শ্রদ্ধা না থাকে তাহলে দুটো দেশের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

এর আগে এই প্রতিষ্ঠানটি তার এক প্রতিবেদনে বলেছে, আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোন দলের ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনাকে ভারতে অনেকে উদ্বেগের সঙ্গে দেখেন।

 

 

"তাদের যদি নিরপেক্ষতার অভাব থাকে তাহলে দু'দেশের সম্পর্কের উন্নয়ন হবে না। এদেশের মানুষের প্রতি যদি ভারতীয় নীতিনির্ধারকদের শ্রদ্ধা না থাকে তাহলে সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।"

তিনি বলেন, "যে দল বা গোষ্ঠী মানুষের কাছে অগ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছে তাদের ওপর আস্থা রেখে যদি ভারত এগুতে চায় তাহলে দু'দেশের সম্পর্ক ক্ষতির দিকে যাবে।"

বাংলাদেশে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন দেখতে চায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।                      বাংলাদেশে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন দেখতে চায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।

কিন্তু আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি আমলের কথা বিবেচনায় নিলে প্রতিবেশী দেশের তরফ থেকে এধরনে চিন্তা ভাবনা আসাটা অমূলক কিছু নয়।

তিনি বলেন, "বিএনপি আমলে বাংলাদেশে উগ্র মৌলবাদের উত্থান ঘটেছিলো ও বিশেষ করে ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মদদ দেয়ার অভিযোগ উঠেছিলো। স্বাভাবিক ভাবেই প্রতিবেশী রাষ্ট্রে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও উগ্র মৌলবাদীদের বিস্তার হলে তার প্রভাব প্রতিবেশীদের ওপর পড়বেই। সেটি বিবেচনায় নিয়ে কেউ উদ্বেগ প্রকাশ করলে সেটা অমূলক নয়।"

তবে ওই বিশ্লেষণে বাংলাদেশে সংসদীয় রাজনৈতিক দল দুর্বল হয়ে ইসলামী গোষ্ঠীর শক্তিশালী হয়ে ওঠা কিংবা পরিস্থিতি খারাপ হলে ফিরে আসতে পারে সেনা শাসনও-এমন যেসব আশংকার কথা বলা হয়েছে তার সঙ্গে একমত নন আওয়ামী লীগের এই

বিএনপির প্রধান খালেদা জিয়াবিএনপির প্রধান খালেদা জিয়া

ওআরএফের বিশ্লেষণে বিএনপির আমলে ইসলামী জঙ্গিবাদ শেকড় গেড়েছিল এবং ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা প্রশ্রয় পেয়েছিলো- এধরনের মন্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন বিএনপির নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ওই সময়েই এগুলোর বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেয়া হয়েছিলো।

তবে সিনিয়র সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বলছেন, পরিস্থিতি বিবেচনা করে ভারত নিজেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন হতেই পারে।

তিনি বলেন, "আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার ফলে যেসব দুর্বলতা তৈরি হয়েছে তা থেকে নির্বাচনের ফল কোন দিকে যাবে, ফল কেমন হবে, নির্বাচন না হলে তৃতীয় শক্তির উত্থান হবে কি-না তা নিয়ে ভারত চিন্তা করতেই পারে।"

মিস্টার আহমেদ বলছেন, ভারত বাংলাদেশকে তার প্রভাব বলয়ে রাখতে চায় আর এই প্রভাব বলয়ে রাখার যে চেষ্টা তার অন্যতম কারণ হলো আঞ্চলিক রাজনীতি- যেটি ওআরএফের বিশ্লেষণেও উঠে এসেছে-যেখানে বলা হয়েছে ভারত যদিও বাংলাদেশের বহু বছরের মিত্র, এখন চীন সেখানে ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে

bbc



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: