
আজ রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটে ফলোআপ গণশুনানি অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায়
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার ড. নাসির উদ্দীন আহমেদ বলেছেন, প্রমাণ সাপেক্ষে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি বিআরটিএ’র মেট্রো সার্কেল উত্তর, মেট্রো সার্কেল দক্ষিণ, ইকুরিয়া এবং মেট্রোর সার্কেল-৩, তুরাগ-উত্তরা এর কার্যক্রম নিয়ে এ ফলোআপ গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদক ‘জিরো টলারেন্স’নীতি অবলম্বন করেছে উল্লেখ করে ড. নাসির উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘যার বিরুদ্ধেই দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যাবে তার বিরুদ্ধেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি উপস্থিত অভিযোগকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সুনির্দিষ্ট নাম দিয়ে অভিযোগ করুন। তাদেরকে জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।
শুধু বিআরটিএ নয় সরকারি সকল প্রতিষ্ঠানের কাঠামোগত ও প্রশাসনিক সংস্কার প্রয়োজন বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিআরটিএ’র উচিত সকল কার্যক্রম নিয়মিত প্রেসে রিপোর্ট করা।
তিনি বিআরটিএ’এর কার্যক্রমকে জনবান্ধব করার আহ্বান জানান।
দুদক কমিশনার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ২০১৬ সালের মে মাসের গণশুনানিতে উত্থাপিত অভিযোগ আজ পর্যন্ত নিষ্পত্তি না হওয়া বিআরটিএ কর্মকর্তাদের সীমাহীন উদাসীনতা, দায়িত্ব পালনে চরম অবজ্ঞা এবং ঔদ্ধত্যের সামিল। জনগণ এই ঔদ্ধত্য সহ্য করবে না।
গণশুনানিতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের সভাপতি ও চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, উন্নত দেশে যেখানে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতি ১০ হাজার মানুষের ১ জন বা ২ জন বা ৩ জন মৃত্যুবরণ করেন, সেখানে বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় ৭০ থেকে ৭৫ জন।
তিনি বলেন, দেশে ৩৪ লাখ রেজিস্ট্রার্ড যান বাহন রয়েছে সেখানে লাইসেন্সধারী ড্রাইভার আছে মাত্র ২৩ লাখ। অবশিষ্ট ১১ লাখ গাড়ি কারা চালাচ্ছে প্রশ্ন করে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, এসকল গাড়িচালকদের কারণেও অনেক দুর্ঘটনা ঘটছে।
গণশুনানীতে অন্যান্যের মধ্যে দুদক মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মাহমুদ হাসান, বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মশিউর রহমান ও দুদকের ঢাকা বিভাগের পরিচালক নাসিম আনোয়ার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: