সিরাজদিখাঁন থানার রসুনিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড মেম্বার ও এলাকার বিশিষ্ট ক্যাডার বাহিনী গণধর্ষণের বিচার করে এলাকার শান্তি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন বলে জানা যায়। ঘটনার অনুসন্ধানে জানা যায় সিরাজদিখাঁন বাজারের দোকানে দোকানে পানি বিক্রেতা ছিল রিনা বেগম, মানসিক ভারসাম্যহীন এবং পরিতাক্তা স্বামী আব্দুল মতিন ওরফে লতিফের কন্যা আয়েশা ওরফে ফাতেমা (১৩) কে গত ১৭/০৪/২০১৮ইং তারিখে অচেতন ঔষধ সেবন করিয়ে মুন্সিগঞ্জ জেলা থেকে কুষ্টিয়া জেলায় নিয়ে গণধর্ষণ করা হয়।

পরবর্তীতে মুন্সিগঞ্জ সিরাজদিখাঁন থানা এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় নেতা ও সিরাজদিখাঁন থানার অন্যতম দালাল আলম খাঁন আরও কিছু নেতাসহ ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার হোসেনকে নিয়ে বিচার সালীশ করেন এবং এ বিষয়ে জানা যায় যে মুরাদ পিতাঃ কুরবান আলী, সাং-সরদার পাড়া, রাসেল পিতাঃ জহিরুল ইসলাম, সাং-পূর্ব আবির পাড়া, জাহাঙ্গীর পিতাঃ কালা চান, সাং-আবির পাড়া, ইউনিয়ন রসনিয়া, সিরাজদিখাঁন থানাধীন এলাকাবাসী। এ তিনজনের যোগ সাজস্যে গনধর্ষণ করে পরবর্তীতে বিচার সালীশের মাধ্যমে মুরাদ এবং রাসেলকে বিচারক আলম খাঁন ও রসুনিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড সদস্য হোসেন মেম্বার মিলে একজনকে ৫০,০০০/(পঞ্চাশ) হাজার ও আরেক জনকে ৮০,০০০/- (আশি) হাজার টাকার মুসলেকা জরিমানার মাধ্যমে বিচার সমাপ্ত করে। কালা চানের ছেলে জাহাঙ্গীরের কোন টাকা পয়সা না থাকায় অপ্রাপ্ত বয়স (১৩) বছরের মেয়েটির সাথে বিবাহ বন্ধনের ব্যবস্থা করেন। বিয়ের দিনখন ছিল ২৬/০৪/২০১৮ইং বিকেলে সিরাজদিখাঁন থানা ওসি সাহেবের কামরায় বলে অভিযোগও পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে ভিকটিম আয়শা আক্তার ওরফে ফাতেমা (১৩) জানান জাহাঙ্গীর, রাসেল, মুরাদ (মোশের্দ) এরা তিনজন আমকে গণধর্ষণ করে। আমি জন্মের পরে কোনদিন বাবা দেখেনি, আমার মা বর্তমানে পাগল। এদের বিষয়ে আমার কোন কিছু লুকাবার নয় পরবর্তীতে বিচারের মাধ্যমে জাহাঙ্গীরের সাথে বিয়ে পড়ান। মেয়েটি জানান তার মা সুস্থ থাকা অবস্থায় তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করে, এখন লেখাপড়া করতেন না জানায় ভিকটিম আয়সা ওরফে ফাতেমা। এই বলে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন অনুসন্ধানকারী রির্পোটারদের সামনে।
এ বিষয়ে রসুনিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার হোসেন জানান আমি প্রথমে ছিলাম পরবর্তীতে আমি এ বিষয়ে আর কোন খবর নেই নাই। ধর্ষণের বিচার-আচার যাই করিয়াছেন জাহিদ শিকদার, আলম খাঁন, মাসুদ লস্কর এবং এলাকার মাতুবরগণ।
জাহিদ শিকদার জানান, মেয়েটি নিত্যান্তই একটি গরিব পরিবারের সন্তান আমরা এলাকাবাসী সামাজিক ভাবে বিচার সালীশ করিয়ে দেই।
এ বিষয়ে আলম খাঁন জানান, এটা আমাদের এলাকার বিষয়। আমরা এলাকার লোকজন মিলে বিচার-আচার করে দিয়েছি। তবে আমাদের এ বিচার-আচারে সবাই সন্তুষ্ট, থানা পুলিশকে তলব করে কোন লাভ নেই আমি নিজেই প্রতিনিয়ত থানা পুলিশের সাথে চলাফেরা করি। আর কোন সংবাদ প্রকাশেরও প্রয়োজন নেই। যেহেতু এটা আমাদের এলাকার বিষয় এলকার ছোট ভাই ব্রাদার ঘটানাটি ঘটিয়েছে তাই আমরা এলাকায়ই বিচার করিয়ে দিই বলে জানান।
জাহিদ খাঁনকে প্রশ্ন করা হয় গণধর্ষণের বিচার কি গ্রাম সালীশে হয় কি না? জানতে চাইলে তিনি জানান আমারা রাজনীতি করি আমাদের একটা সম্মান আছে না। আমাদের বিচারে সবাই সন্তুষ্ট।
সংবাদ লিখার পূবেই ০৭-০৫-২০১৮ সন্ধা ৮.২৩মিনিটে ০১৭১৩৩৭৩৪০০ থেকে একটি ফোন আসে এবং সেই ফোনে সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরও প্রচন্ড রকমের গারি গালাজ করতে থাকে যাহা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। পরে সেল ফোন নাম্বারটি জানা যায় সিরাজদিখাঁন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম সাহেবের।
এ বিষয় সিরাজদির্খাঁন থানা নির্বাহি কর্মকর্তা তানভীর মোহাম্মদ আজিম, ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন বলে সেল ফোনে জানান তবে থানায় হয়েছে কি না এখনও কোন খবর পাওয়া যায় নাই, কেহ সত্য কথা বলছে না। বিষয়টি তদর্ন্ত করে আগামী কাল জানা যাবে।
এ বিষয় মুন্সিগঞ্জ জেলাপ্রশাসক সায়লা ফারজানা কে নিউজ করার পূর্বে অবগত করলে তিনি বিষয়টি সঠিক দেখার জন্য সিরাজদিখাঁন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করিয়ে দেন সংবাদ কর্মীকে এবং এ ধরণের কোন ঘটনা হয়ে থাকলে তাহার বিষয় আইনী প্রক্রিয়ায় আনার জন্য ব্যবস্থাও করার ভাব ব্যক্ত করেন সংবাদ কর্মীদের সাথে।

মুন্সিগঞ্জ ভয়েস ডটকম থেকে হুবহুব সাবটাইটেল বাদে।