
চীনা বিনিয়োগকারীরা ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশের উন্নতির জন্য বাংলাদেশের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে বলেছেন, বাংলাদেশ এখন চীনা বিনিয়োগকারীদের জন্য সবচেয়ে একটি আকর্ষণীয় স্থান।
চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে হোটেল সেন্ট রেজিসে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং চীনা টপ ৫০০ ফরেন ট্রেড এন্টারপ্রাইজ ক্লাব-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত চীন-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরামে বক্তৃতাকালে তারা এ মন্তব্য করেন। শনিবার এখানে প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানা যায়।
চীনের বেশ কিছুসংখ্যক কোম্পানীর প্রতিনিধি এবং ব্যবসায়ী এই ফোরামে যোগ দেন। ফোরামে বলা হয়, চীনের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে তাদের বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে পারে।
বাংলাদেশে ব্যবসাকারী চীনের ব্যবসায়ীরা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অফিস স্থাপনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তারা বাংলাদেশের জনগণের ও ব্যবসায়ি সম্প্রদায়ের বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন।
তারা বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশিলতার প্রশংসা করে বাংলাদেশ খুব শিগগির একটি সমৃদ্ধশালী দেশ হওয়ার ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে শানডং ওয়টিরি কনজারভ্যান্সি কনস্ট্রাকশন গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার উয়াং কিনজিয়ান বাংলাদেশে তার কাজ করার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চীনের বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহবান জানান।
চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম ফজলুল করিম বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরে অসামান্য অগ্রগতি তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ ধীরে ধীরে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অজর্নের পথেই এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সেক্টরে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হচ্ছে বলে তিনি জানান।
রাষ্ট্রদূত ভিশন -২০২১ এবং ২০৪১-এর উল্লেখ করে বলেন, দ্রুত শিল্পায়নের জন্য প্রয়োজন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন।
তিনি বলেন, সরকার ব্যবসা ও বিনিয়োগমুখী নীতি গ্রহণ করেছে এবং বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য পূজি প্রত্যাহার, কর অবকাশ, কর মুক্ত যন্ত্রাংশ আমদানি সুবিধাসহ একগুচ্ছ ইনসেন্টিভ দিচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, চীনের ব্যবসায়িরা বাংলাদেশে শিপবিল্ডিং, ওষুধ, কৃষি প্রক্রিয়াকরন, পাট, হালকা প্রকৌশল. আইসিটি, অবকাঠামো এবং পর্যটনের মতো বিভিন্ন সেক্টরে বিনিয়োগ করতে পারে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: