
আব্দুর রাহিম, শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার শেরপুর পৌর শহরের খন্দকারপাড়া গ্রামে গতকাল ৪ জুন সোমবার সকালে গলায় ফাঁস দেয়া তানিয়া(২৩) নামের এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় পর থেকে স্বামী মেহেদী হাসান পলাতক রয়েছে। তবে গৃহবধু তানিয়া হত্যা না আত্মহত্যা এ নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার শাহ-বন্দেগী ইউনিয়নের তোজাম্মেল হকের মেয়ে তানিয়া খাতুন এর সাথে প্রেমের সম্পর্কের জেরে একই উপজেলার গাড়িদহ দশমাইল এলাকার ফজলুল হকের ছেলে মেহেদী হাসানের সাথে বিয়ে হয় প্রায় ৩ বছর পূর্বে। মেহেদীর পিতার অবাধ্য হওয়ায় স্ত্রী তানিয়াকে নিয়ে গত ১ বছর থেকে পৌর শহরের খন্দকারপাড়ায় জনৈক জালালের বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করেন। এরই এক পর্যায়ে গত সোমবার ভোররাতে সেহরীর পর তানিয়া’র নিজ ঘরের বিছানার উপরে গলায় ওড়না পেছানো ফাঁস দেয়া লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার দেয় তার বাবা। খরব পেয়ে স্থানীয় প্রতিবেশীরা ছুটে এসে লাশ প্রত্যক্ষ করে থানা পুলিশে খবর দেয়। পরে বেলা ১১টার দিকে থানা পুলিশের উপ-পুলিশ পরিদর্শক এবাদ আলী মোল্লা নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এদিকে তানিয়া’র মৃত্যু হওয়ার পর থেকেই তার স্বামী মেহেদী পলাতক রয়েছে। অন্যদিকে বিয়ের পর থেকেই তানিয়াকে মাদকাসক্ত স্বামী মেহেদী যৌতুকের দাবীতে নানাভাবে নির্যাতন করে আসতো বলে জানিয়েছেন নিহতের পিতা তোজাম্মেল হক আরও জানান তার মেয়ে তানিয়া ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর একটি বেসরকারী কলেজে ডিপ্লোমা করছেন। তানিয়া’র হত্যা বা আত্মহত্যার স্পস্ট কারণ জানা যায়নি।
এ প্রসঙ্গে শেরপুর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক এবাদ আলী মোল্লা জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রির্পোট সাপেক্ষেই আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও ওই কর্মকর্তা দাবী করেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: