ঢাকা | রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

তামিম,মাশরাফি,সাকিবের নৈপুণ্য বাংলাদের জয়

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ২৩ জুলাই ২০১৮ ১৩:৫৪

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ২৩ জুলাই ২০১৮ ১৩:৫৪

দলের দুর্দিনে সিনিয়র খেলোয়াড়দের উপর যে দায়িত্ব বর্তায় সেটাই অক্ষরে অক্ষরে পালন করলেন তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান ও অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। তামিমের শতক, সাকিবের ৯৭ রান ও মাশরাফির ৪ উইকেটে ভর করে দুর্দান্ত এক জয় পেয়েছে সফরকারি বাংলাদেশ।
 
পুরো দলকে উজ্জ্বীবিত করতে দারুণ ভূমিকা রাখলেন একদিনের ম্যাচের অধিনায়ক মাশরাফি। আর তাতেই টাইগারদের নীলাকাশে দেখা দিলো ঝলমলে রোদ। ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে বাজে পারফরম্যান্সের পর ওয়ানডে সিরিজে ভালোভাবেই শুরু করলো বাংলাদেশ।
 
রবিবার রাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৪৮ রানের জয় পেয়েছে সফরকারিরা। তাদের দেয়া ২৮০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২৩১ রানে গুটিয়ে গেছে স্বাগতিকরা। ক্রিস গেইল ও শিমরন হিটমায়ার ছাড়া তেমন কেউই প্রতিরোধ গড়তে পারেননি।
 
তামিম ইকবালের অপরাজিত সেঞ্চুরি ও সাকিব আল হাসানের ৯৭ রানে ভর করে গায়নার কঠিন পিচে ৪ উইকেটে ২৭৯ রান তোলে বাংলাদেশ। টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। কিন্তু শুরুতেই ধাক্কা হজম করে মাশরাফির দল। অনুশীলন ম্যাচে ভালো না করা এনামুল হক বিজয় নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি। ৩ বল খেলে কোনো রান না করে ফিরে আসেন তিনি; এ সময় দলের রান মাত্র ১। আর এখান থেকেই দারুন এক প্রতিরোধ গড়েন সাকিব ও তামিম।
 
এই উইকেটে রান করাটা ছিলো খুবই কঠিন। সেই কঠিন কাজটাই করেন বাংলাদেশের দুই সিনিয়র ক্রিকেটার। শুরুতে বেশ দেখে শুনে খেলতে থাকেন দু জন। কাছাকাছি সময়ে ফিফটি পার করে ফেলেন। দু জনে নব্বই রানও পার করে ফেলেন প্রায় একসাথে। সে সময় দু জনেরই সেঞ্চুরি সময়ের ব্যাপার মনে হচ্ছিলো। কিন্তু ভাগ্য সাকিবের সাথে ছিলো না। তিনি সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৩ রান দূরে আউট হয়ে যান। ১২১ বলে ৬টি চারে সাজানো ৯৭ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন সাকিব।
 
তামিম ও সাকিব দ্বিতীয় উইকেটে যোগ করেন ২০৭ রান। এটা বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি। বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে এটা মাত্র দ্বিতীয়বারের মতো দুই শ পার হওয়া জুটি। এর আগে সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ ২২৪ রান করেছিলেন পঞ্চম উইকেট জুটিতে; নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।  এরপর তামিমকে সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হন সাব্বির। তিনি মাত্র ৩ রান করে ফিরে আসেন। তবে তামিমের সাথে দারুন সঙ্গ দেন মুশফিক। তিনি মাত্র ১১ বলে ৩টি চার ও দুটি ছক্কায় ৩০ রান করে আউট হন। আর এক বলের জন্য উইকেটে এসে সেই বলেই চার মেরে দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
 
তবে এই সবার পাশে এক প্রান্তে দলের মূল ভরসা হয়ে ছিলেন যথারীতি তামিম ইকবাল। ইনিংস শুরু করতে এসে ৫০ ওভার পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন তিনি। ১৬০ বলে ১০টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১৩০ বলের দৃষ্টি নন্দন এক ইনিংস খেলে অপরাজিত অবস্থায় প্যাভিলিয়নে ফেরেন তামিম


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: