
মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখান উপজেলার বালুরচরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে মধ্যযুগীয় অস্ত্র টেটার ব্যপক ব্যবহার হয়ছে।
এদিকে বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত দুই গ্রুপের ঐ সংঘর্ষের ঘটনায়ও পুলিশি গ্রেফতার এড়াতে গ্রাম ছেড়েছে স্থানীয় ২টি গ্রামের পুুরুষরা। এতে পুরুষ শূণ্য হয়ে পড়েছে বালুরচর এলাকার মোল্লাকান্দি ও নতুন ভাসানচর গ্রাম ২টি। এদিকে শুক্রবার রাত পর্যন্ত এঘটনায় সিরাজদিখান থানায় উভয় পক্ষের ১৩জন গ্রেফতার রয়েছে।
সরজমিনে শুক্রবার বিকালে বালুরচর ইউনিয়নের মোল্লাকান্দি, নতুন ভাষানচর এলাকায় ১৫টিরও বেশি বাড়ি ঘুরে দেখা যায়, বাড়ি গুলোতে হামলার চিহ্ন স্পষ্ট। ইট-পাটকেল ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরে আছে এখানে ওখানে, বেশির ভাগ বাড়ির জানালার ভাঙা, কোন কোন বাড়ির টিভি-ফ্রিজ , আসবাবপত্র ভাঙাচূড়া। বাদ যায়নি নিরীহ প্রানীরাও, টেটাবৃদ্ধ হয়ে আহত অবস্থায় ঘুরে বেড়াচ্ছে একটি কুকুর।
সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখে জড়ো হয় ভোক্তভোগী নারীরা তারা জানান, সংঘর্ষের ভয় এখনো আতংক বিরাজ করছে পুরো এলাকায়।
ভোক্তভোগী ইয়াসমিন আক্তার জানান, হামলার পর থেকে আমদের পুরষ সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।
আরেক ভোক্তভোগী নাসিমা আক্তার জানান, আমাদের বাড়িঘরে বাচ্চাদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় আছি।
সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম জানান, এঘটনায় উভয় পক্ষের ১৩জন গ্রেফতার রয়েছে, র্দীঘদিনের সংর্ঘষ বন্ধে আইনশৃংখলা বাহিণী তৎপর রয়েছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকালে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বুধবার রাতে স্থানীয় নুরু বাউল গং হামলা চালায় নাছির মেম্বার গংদের বাড়িঘরে । পরে দুইগ্রুপের সংর্ঘষ ও টেটা যুদ্ধ হয়। দফায় দফায় সংর্ঘষে নাছির মেম্বার গংদের শতাধিক বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর চালায় নুরু বাউল গংরা। এসময় টেটাবৃদ্ধ সহ অর্ধশতাধিকের বেশি মানুষ আহত হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হলে পুলিশের গাড়ি ভাংচুরে তিন পুলিশ আহত হয়। পরে সিরাজদিখান থানায় এস আই সোহল বাদী হয়ে ৫৮জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২শ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: