
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর অনুদানের টাকায় ইতিমধ্যে কয়েক‘শ পশু কেনা হয়েছে। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত অবশিষ্ট পশুগুলো কেনা হবে। এই কাজে রোহিঙ্গা শিবিরে কর্মরত দেশি-বিদেশি দাতা সংস্থা ও জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা সহযোগিতা করছে। কোরবানির মাংস বিতরণ হবে জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে। এছাড়া মাংস বন্টনের জন্য প্রতিটি রোহিঙ্গাশিবিরে ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পৃথক কমিটি হয়েছে।
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩০টি আশ্রয়শিবিরে রোহিঙ্গাদের জন্য ১০ হাজার কোরবানির পশু কেনা হচ্ছে।
কোরবানির মাংস সুষ্ঠুভাবে বিতরণ ও পশু কেনার জন্য জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনকে প্রধান করে একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. কামাল জানান, ঈদের দিন প্রতিটা রোহিঙ্গা পরিবারকে আন্তত পাঁচ কেজি করে মাংস পৌঁছে দেওয়ার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ১ লাখ ৯৫ হাজার পরিবারের ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাদের জন্য ১০ হাজার পশু কেনা হচ্ছে। এর মধ্যে ৯০ শতাংশ গুরু। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয়দের জন্যও কেনা হবে ৬০০ থেকে ৭০০টি পশু। প্রতিটি পরিবারে অন্তত পাঁচ কেজি করে মাংস পৌঁছানোর চেষ্টা চলছে। রোহিঙ্গারা যাতে ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হয় তাই এই উদ্যোগ
জাতিংসঘের তথ্য অনুযায়ী, উখিয়া ও টেকনাফের আশ্রয়শিবিরগুলোতে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১১ লাখ ১৮ হাজার ৫৫৭ জন। আর আগে ঈদুল ফিতরেও প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা ও স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ঈদ উপহার হিসেবে ত্রাণসামগ্রী পাঠিয়েছিলেন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: