ঢাকা | শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী চামড়া পাচার রোধে সক্রিয়

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ২৩ আগস্ট ২০১৮ ১৭:৫৫

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ২৩ আগস্ট ২০১৮ ১৭:৫৫

কোরবানির ঈদের পর থেকেই কোরবানির পশুর চামড়া পাচারে সক্রিয় হয়ে উঠেছে খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি পাচারকারীচক্র। সরকারিভাবে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম কম নির্ধারণ হওয়ায় এ সিন্ডিকেটের তত্পরতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

বুধবার কোরবানির ঈদের দিন মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে খুলনা মহানগরীসহ গ্রামাঞ্চলে পাড়া-মহল্লায় তাদের নির্ধারিত এজেন্টের মাধ্যমে চামড়া কিনতে তত্পর হয়ে উঠতে দেখা যায়। তবে দক্ষিণাঞ্চল থেকে চামড়ার পাচার ঠেকাতে সক্রিয় রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। ইতোমধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে সীমান্তবর্তী সাত জেলায় কঠোর নজরদারির ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে খুলনার চার উপজেলার ১২টি পয়েন্টে কোরবানির ঈদ পরবর্তী সময়ে সার্বক্ষণিক নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাতক্ষীরা ও যশোর সীমান্তবর্তী এলাকায় কোরবানির পশুর চামড়ার মৌসুমী ব্যবসায়ীরা ভারতে চামড়া পাচারের কাজে প্রতিবছরই নিয়োজিত থাকেন। এ বছরও এর ব্যতিক্রম ঘটবে না বলে আশঙ্কা করছেন খুলনায় চামড়ার পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
খুলনা মহানগরীর শেখপাড়া চামড়াপট্টির ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতে চামড়ার অনেক দাম। প্রতিনিয়ত সেখানে নতুন নতুন ট্যানারি গড়ে উঠছে। চাহিদাও বেশি। তারা বলেন, দেশে চামড়ার দাম কম থাকায় বরাবরের মতো এবারও চামড়া পাচার হবে।

সরেজমিন দেখা যায়, শেখপাড়া প্রধান সড়ক ও শেরে বাংলা রোডের সংযোগস্থলের চামড়াপট্টিতে রাস্তার উপরেই চামড়া এনে রাখছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা জানান, চামড়া ব্যবসায়ীদের জন্য প্রথক মার্কেট বা বাজার নেই। বাড়ির মালিকরা চামড়া ব্যবসায়ীদের কাছে দোকান ভাড়া দিতে চান না। এজন্য রাস্তার ওপরই চামড়া সংরক্ষণ করতে বাধ্য হতে হচ্ছেন।

চামড়া ব্যসায়ীদের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট মার্কেট নির্মাণের দাবি জানান তারা। খুলনা কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম ঢালী বলেন, এবারও চামড়ার দাম কম হওয়ায় ৫০ ভাগ চামড়া ভারতে পাচার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে খুলনার চামড়া ব্যবসায়ীরা এবছরও অসাধু ফড়িয়া ও মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কাছে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। ট্যানারি মালিকরা বকেয়া টাকা না দেওয়ায় চাহিদা ও সুবিধামতো চামড়া কিনতে পারছেন তারা। এই সুযোগে ফড়িয়া ও মৌসুমি ব্যবসায়ীদের মাধ্যমেই পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে চামড়া পাচার হওয়ার আশঙ্কা করছেন প্রকৃত ব্যবসায়ীরা। যদিও কোরবানির আগে থেকেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, চামড়া পাচারের আশঙ্কা নেই।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র জানায়, খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চল থেকে চামড়ার পাচার ঠেকাতে সক্রিয় রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। ইতোমধ্যে সীমান্তবর্তী ৭ জেলায় কঠোর নজরদারির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে খুলনার ৪ উপজেলার ১২টি পয়েন্টে ঈদ পরবর্তী সময়ে সার্বক্ষণিক নজরদারির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

খুলনার পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ বলেন, কোরবানির পশুর চামড়া ভারতে পাচাররোধে কড়া নজরদারি গ্রহণ করা হয়েছে। পশুর চামড়া পাচার যাতে না হয় সেজন্য খুলনা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ১২টি চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করা হচ্ছে



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: