ঢাকা | মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বজ্রযোগীনি ইউনিয়নের আজিমপুরা গ্রামে

হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করে মাদ্রাসা শিক্ষক হত্যা

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ৩০ আগস্ট ২০১৮ ০২:১১

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ৩০ আগস্ট ২০১৮ ০২:১১

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বজ্রযোগীনি ইউনিয়নের আজিমপুরা গ্রামে এক মাদ্রাসা শিক্ষক ক্বারী মো. আওলাদ হোসেনকে (৫৫) হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করেছে। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করে তার পরিবার। তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার ভোরে প্রতিবেশী তাইজুল শেখ (৪৫)কে আটক করে হাতিমারা পুলিশ। ক্বারী আওলাদ হোসেন চুরাইন আনোয়ারুল উলুম রহমানিয়া মাদ্রাসার ক্বেরাত বিভাগের শিক্ষক এবং স্থানীয় আতকা বাজারে হারবাল ওষুধ ব্যবসায়ী ছিলেন।  

নিহত আওলাদ হোসেনের স্ত্রী সাহিদা বেগম জানান, মঙ্গলবার রাতের খাওয়া শেষ করে ব্যবসার হিসাব নিকাশ নিয়ে কাজ করছিলেন আমার স্বামী। রাত ৯টার দিকে প্রতিবেশী তাইজুল মোবাইলে কল করে তাকে বাসা থেকে ডেকে নেন। এরপর দীর্ঘ সময় হয়ে যাওয়ায় তিনি ফিরে না আসায় এবং তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় বাসা থেকে বের হয়ে তাকে খোঁজ করতে থাকি। একপর্যায়ে তাইজুলের বাসায় গিয়ে দেখি বাড়ির পাশের পুকুরের ঘাটলায় তিনি রক্ত মাখা লুঙ্গি পরিষ্কার করছেন। কিছু একটা টেনে ঘাটলায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং রক্তের চিহ্ন দেখা যায়। দূর থেকে তাকে আওলাদ হোসেনের বিষয়ে জিজ্ঞাস করলে তিনি জানে না বলে জানান। এরপর বাড়ির আশপাশের আত্মীয়-স্বজনদের মোবাইলের মাধ্যমে ডেকে আনলে তারা তাইজুলকে আটক করে। পরে পুকুরের ঘাটলায় কচুরিপানার ভেতরে আমার স্বামীর মরদেহ দেখতে পাওয়া যায়। তিনি আরোও বলেন, তাইজুল আমার স্বামীর ব্যবসা বাণিজ্যে উন্নতি এবং চারদিকে সুনামের বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি। বাড়িতে ডেকে নিয়ে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানোর পর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে। 

হাতিমারা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় তাইজুলকে আটক করা হয়েছে। ঘরের আলমারি থেকে  ব্যবহৃত হাতুড়িও উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে বিস্তারিত খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: