ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫, ২৭ চৈত্র ১৪৩১
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আমি সম্মান করি। কারণ তারা এ আন্দোলন না করলে এ আইনটি কখনো আলোর মুখ দেখতে পেত না

সড়ক পরিবহন আইনটি গ্রহনযোগ্য না হলে তা বাস্তবায়ন করা কঠিন হবে এবং জনগন এ আইনের সুফল পাবে নাঃ ওবায়দুল কাদের

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২১:১৪

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২১:১৪

 

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জাতীয় সংসদের আগামী অধিবেশনে প্রস্তাবিত সড়ক পরিবহন আইনটি পাস হবে।

তিনি বলেন, আইনটির খসড়া ইতোমধ্যে মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে। তবে প্রস্তাবিত আইনটি চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে সংসদে উপস্থাপনের পর তা স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হবে। সেখানে এ আইনটি নিয়ে চুলচেরা আলোচনা হবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, স্থায়ী কমিটি এ আইনটির বিষয়ে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করবেন এবং সংসদেও এ নিয়ে আলোচনা হবে। সেখানে এ আইনটি পরিবর্তন ও সংশোধন হতে পারে। এ নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছু নেই।
ওবায়দুল কাদের আজ বিকেলে মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সভাকক্ষে সড়ক ও মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা কমিয়ে আনতে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও পরিবহন মালিক ও শ্রমিক ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সড়ক পরিবহন আইনটি গ্রহনযোগ্য না হলে তা বাস্তবায়ন করা কঠিন হবে এবং জনগন এ আইনের সুফল পাবে না।
তিনি বলেন, নিরাপদ সড়কের দাবীতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আমি সম্মান করি। কারণ তারা এ আন্দোলন না করলে এ আইনটি কখনো আলোর মুখ দেখতে পেত না।
রাস্তায় মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীদের হেলমেট ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, মোটরসাইকেলে হেলমেট ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সার্বিক উন্নতিতে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে বাংলাদেশ রোল মডেল হলেও ঢাকা শহরের দিকে তাকানো যায় না। অনেক বাসের ছাল-বাকর পর্যন্ত উঠে গেছে। বাসের গায়ে লেখা থাকে মা-বাবার দোয়া ও আল্লাহর নামে চলিলাম।
তিনি বলেন, আর এভাবে চলতে চলতে বাসগুলো পথচারীদের গায়ের ওপর তুলে দেয়। শহীদ রমিজ উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনা তারই প্রতিফলন।
সড়ক ও মহাসড়কে ছোট যানবাহন ও ইজিবাইক ব্যবহাওে ক্ষোভ প্রকাশ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ব্যাটারী চালিত রিক্সা ও ইজিবাইক তৈরির কারখানা বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ধরনের যানবাহনের উৎসমুখ বন্ধ করা হলে দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা কমানো সম্ভব হবে।
সভায় বিশিষ্ট কলামিষ্ট ও লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, সড়ক পরিবহনে ভাল আইন থাকলে দুর্ঘটনা কমানো সহজ হয়।
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত এ আইনটি অনেক ফাঁক-ফোঁকর রয়েছে। তা পূুনর্বিবেচনা করতে হবে। তা না হলে আইনটি অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।
এ সময় তিনি দুর্ঘটনা ও হত্যাকান্ডের সংজ্ঞা নির্ধারনের প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন।
স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, দামী দামী গাড়ীর চালকদের যেভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হয় এবং বিশ্রামের ব্যবস্থা করা হয় সেভাবে কমদামী গাড়ীর চালকদের প্রশিক্ষণ ও বিশ্রামের ব্যবস্থা করলে দুর্ঘটনার সংখ্যা কমে আসবে।
সোহাগ পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহেল বলেন, হাইড্রোলিক স্টপেজ ডোর ব্যবহার করলে বাসগুলো যত্রতত্র থামতে পারবে না। সেজন্য বৈধ পার্কিংয়ের স্থান নির্ধারণ করতে হবে।
এছাড়াও সভায় অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)’র চেয়ারম্যান ও চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, মহা-পুলিশ পরিদর্শকের প্রতিনিধি,ডিএমপি’র প্রতিনিধি, হাইওয়ে পুলিশের প্রতিনিধিরা এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ)’র চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান প্রমূখ।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: