

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন-বাউফল থানার অন্তর্গত ধূলিয়া ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন জায়গায় নদী ভাঙ্গণ কমিটির সভাপতি-মোফাজ্জল হোসেন মফু, পরিচালনা করেন- সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণ সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা।

মানববন্ধনে উপস্থিত হাজার হাজার মানুষের দাবি নিয়ে বক্তব্য রাখেন- বাউফল উপজেলা জনকল্যাণ সমিতির সভাপতি এম.এ.মজিদ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মাহাবুব উদ্দিন আহমেদ, পটুয়াখালী জেলা পরিষদ সদস্য জহির উদ্দিন বাবর, ইঞ্জিনিয়ার এস.এম সেলিম, ধূলিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান রব, কেশবপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলু, মুঃ নজরুল ইসলাম, মহিবুল ইসলাম মান্না, কামরুজ্জামান কামরুল, এনায়েত ইসলাম প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তাগণ বলেন- বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণের পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলাধীন ঐতিহ্যবাহী ধূলিয়া ইউনিয়নটি তেঁতুলিয়া নদীর পাড়ে অবস্থিত। ধূলিয়া ইউনিয়ন একটি শিক্ষিত জনপদের নাম। ঐতিহ্যবাহী ধূলিয়া স্কুল এবং কলেজের অনেক মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছেন। এই ঐতিহ্যবাহী বাউফল উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন- ভাষা সৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম সৈয়দ আশরাফ, পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম.এ. সোবাহান, জাতীয় সংসদের মাননীয় চীফ হুইফ, মাননীয় প্রধান নির্বাচন কমিশনার সহ অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। আরও উল্লেখ্য যে, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক এর পৌত্রিক নিবাস। ১৯৭১ সনে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ধূলিযার ২ জন কমান্ডার, বাউফলের কয়েকশ মুক্তিযোদ্ধা নেতৃত্ব দেন। তাদের সমাধি এবং বসতবাড়ীসহ ভাষা সৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক এমপি মরহুম সৈদয় আশরাফ হোসেন এর বসতবাড়ীও হুমকির মুখে। এ ইউনিয়নটিতে কৃষক, জেলে, কামার-কুমারসহ বিভিন্ন পেশাজীবি ও শ্রমজীবি এর সমন্বয় কয়েক হাজার লোক বসবাস করে আসছে। কৃষকরা ধান পানের বড়জসহ অন্যান্য কৃষিপণ্য উৎপাদন করে এবং জেলেরা তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশ মাছ ধরে দেশ-বিদেশে বিভিন্ন অঞ্চলে রপ্তানি করে জীবিকা নির্বাহ এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের চাহিদা পূরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। বক্তারা আরও বলেন- গত ২/৩ দশক থেকে তেঁতুলিয়া নদীর করাল গ্রাসে ধূলিয়া ইউনিয়নের বাসুদেবপাশা, মঠবাড়িয়া, ধূলিয়াসহ কয়েকটি গ্রাম এবং ঐতিহ্যবাহী তহসিল কাচারির দ্বীতল এবং লালমিয়ার দিঘি ইতোমধ্যে তেঁতুলিয়া নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে এবং এ সকল গ্রামের কয়েক হাজার জনগণ ভাসমান অবস্থায় মানবেতর জীবন-যাপন করে আসছে। তারা আরও বলেন- গত কয়েক বছর থেকে নদীর ভাঙ্গণের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় কৃষি জমি, পানের বড়জসহ হাট-বাজার, স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসা, মন্দির সহ সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা সর্বনাশা তেঁতুলিয়া নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে এবং অবশিষ্টগুলিও হুমকির মুখে। যার ফলে কয়েক হাজার ছাত্র-ছাত্রীর লেখা পড়া বন্ধ হয়ে গেছে এবং জন দূর্ভোগ চরমে পৌছেছে। মানববন্ধনে বক্তাগণ অতিদ্রুত ধূলিয়া ইউনিয়নের কয়েক হাজার জনগণের যান-মালের নিরাপত্তা বিধানসহ কৃষি জমি, পানের বড়জ, বিভিন্ন শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠাণ সমূহ রক্ষা কল্পে জরুরী ভিত্তিতে নদী ভাঙ্গণ রোধের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য জাতীয় সংসদের মাননীয় চীফ হুইপ আ স ম ফিরোজ এমপি’র মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট স্মারকলিপি পেশ করা হবে।
বার্তা প্রেরক
(রেজাউল করিম রেজা)
সাধারণ সম্পাদক
নদী ভাঙ্গন রোধ কমিটি ও
সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত)
ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: