
বৃদ্ধাকে দেখতে ছুটে হাসপাতালে নড়াইলের পুলিশ সুপার
জসিম উদ্দীন পিপিএম!
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■গত
বুধবার রাতে নড়াইলের ল²ীপাশা ইউনিয়নের কুচিয়াবাড়ি গ্রামে মৃত ছামাদ শেখের স্ত্রী উজালা
(ফুজলি) বেগম (৯০) কে ছেলে ও মেয়েরা রাস্তায় ফেলে দেয় । আমাদের নড়াইল প্রতিনিধি উজ্জ্বল
রায়কে জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশ প্রশাসন ওই বৃদ্ধাকে শনিবার উদ্ধার করে
হাসপাতালে ভর্তি করে করেছেন। বৃদ্ধার বড় ছেলে ও এক মেয়েকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ফুজলি বেগম বড় মেয়ে কুলসুমের বাড়িতে থাকতেন। তার
নামে ছিল গ্রামের মাঠে চার শতাংশ জমি। সেই জমি বিক্রি করে ৩৮হাজার টাকা দেয় বড় মেয়ে
কুলসুমের হাতে। কুলসুম সেই টাকা দিয়ে ছোট ভাই রাবুকে একটি ভ্যানগাড়ী কিনে দেয়
এবং বাকী টাকা দিয়ে মাকে চিকিৎসা করান। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে মেঝ ছেলে বাবু শেখ ও তার স্ত্রী
বুধবার গভীর রাতে মাকে বাড়ি থেকে নিয়ে রাস্তার ওপর বাশ তলায় ফেলে রাখে। আশপাশের লোকজন
তাকে উদ্ধার করে বড় ছেলে ডাকু শেখের বাড়ির বারান্দায় রাখেন। বিষয়টি বিভিন্ন পত্র পত্রিকা ও
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ হলে এলাকায় চাউর হয়ে পড়ে। তার প্রেক্ষিতে
শুক্রবার রাতে থানার ওসি প্রবীর কুমার বিশ্বাস,ওসি (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম এসআই
আতিকুজ্জামান, সাইফুল ইসলামসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এবং বৃদ্ধার শারীরিক
অবস্থার খোজখবর নেন। গতকাল পুলিশ সেখান থেকে বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ জসিম উদ্দীন পিপিএম, বৃদ্ধাকে দেখতে ছুটে আসেন
হাসপাতালে। এবং সেখানে তিনি চিকিৎসার ব্যাপারে কর্তব্যরত চিকিৎসকের কাছে খোজ খবর
নিয়ে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর
নির্দেশে বৃদ্ধা মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। একটু
সুস্থ্য হলেই দেশের কোন ভালো বৃদ্ধাশ্রমে দেওয়া হবে।
থানার অফিসার ইনচার্জ প্রবীর কুমার বিশ্বাস, আমাদের নড়াইল প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে
জানান, কতৃপক্ষের নির্দেশে বিষয়টি জানার জন্য বড় ছেলে ডাকু শেখ ও মেয়ে কুলসুমকে
আটক করা হয়েছে। মেজ ছেলে বাবু ও তার স্ত্রীকে আটকের চেষ্টা চলছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: