ঢাকা | রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

ফিলিস্তিনের বিপক্ষে কঠিন ম্যাচেও জয় চান জেমি ডে

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ৯ অক্টোবর ২০১৮ ১৭:০৯

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ৯ অক্টোবর ২০১৮ ১৭:০৯

শক্তিশালী ফিলিস্তিনের বিপক্ষে কঠিন ম্যাচেও জয় চান স্বাগতিক বাংলাদেশের প্রধান কোচ জেমি ডে। আগামীকাল কক্সবাজারের বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে শীর্ষ র‌্যাংক ধারীদের মোকাবেলা করবে স্বাগতিকরা। দুপুর আড়াইটায় অনুষ্টিত হবে ম্যাচটি।
গতকাল অসুস্থতার কারণে দলীয় অনুশীলনে উপস্থিত হতে না পারলেও আজ দলকে স্থানীয় বিজিবি মাঠে অনুশীলন করিয়েছেন স্বাগতিক কোচ জেমি ডে। এর আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘ছেলেরা মাঠে নামার জন্য প্রস্তুত। জয়ের জন্য আমাদের গোল দরকার। আশা করছি আগামীকাল আমরা সেটি করতে পারব। আমরা জানি ম্যাচটি আমাদের জন্য বেশ কঠিন হবে। তবে শেষ দুই ম্যাচে আমরা ভাল খেলেছি। এর আগের ম্যাচেও ছেলেরা ভাল করেছে। সুতরাং আবারো আমাদের ভাল ম্যাচ খেলতে হবে। প্রাপ্ত সুযোগের সঠিক ব্যবহার করতে হবে। যদিও শেষ ম্যাচে আমরা ফিলিপাইনের কাছে হেরে গেছি, কিন্তু ছেলেদের পারফর্মেন্স খুবই ভাল ছিল। আশা করছি সেই ধারা বজায় রাখতে পারব এবং সেই সঙ্গে গোল আদায় করতে হবে।’
দলের ফর্মেশন ( ৪-৪-২) প্রসঙ্গে জেমি বলেন,‘ ফিলিস্তিন খুবই ভাল দল। সুতরাং কালকের ম্যাচের জন্য আমাদের কৌশলের পরিবর্তন ঘটাতে হবে। তবে বড় সমস্যা হচ্ছে তাদের দলে বেশ কজন দীর্ঘ দেহী খেলোয়াড় রয়েছে। তারা খেলছেও বেশ ভাল। সুতরাং তাদেরকে সঠিক ভাবে মার্ক করে খেলা নিশ্চিত করতে হবে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য আমদের আগ্রাসী মেজাজেও খেলতে হবে। সেটি করতে পারলে আমার তরফ থেকে কোন অনুযোগ থাকবে না। সেট পিসে এখনো পর্যন্ত আমরা ভালই খেলেছি। আশা করি সেটি বজায় রাখতে পারব।’
সেমি ফাইনালে বাংলাদেশ দলের একাদশ গঠন প্রসঙ্গে স্বাগতিক কোচ বলেন,‘ ফিলিপাইনের বিপক্ষে কয়েক জন বেশ ভাল খেলেছে। তারা ফিলিস্তিনের বিপক্ষেও একই রকম খেলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। যে কারণে আমার জন্য সেরা একাদশ গঠন করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এজন্য আমাকে দীর্ঘ সময় ভাবতে হচ্ছে। কারণ সবাই অসাধারণ দক্ষতা প্রদর্শন করেছে।’
মাঠের কন্ডিশন প্রসঙ্গে ইংল্যান্ডের এই কোচ বলেন,‘ মাঠের অবস্থা দুই দলের জন্যই সমান। ফলে পরিস্থিতি যেমনই হোক সেখানে ফিলিস্তিনের তুলনায় আমরাই বেশী খাপ খাওয়াতে পারব। তবে পরিস্থিতি কি হবে আমি জানিনা। আমার চিন্তুা হচ্ছে মাঠে গিয়ে যতটুকু সম্ভব নিজেদের খেলাটি ভালভাবে খেলতে হবে। আমরা যথেষ্ট পরিশ্রম করেছি। আগের ম্যাচে যেমনটি কেরেছি, তেমন মানষিকতাই প্রদর্শন করতে হবে। ছেলেদের কাছে আমি সেটিই চাই। আমাদের নিখুত পাস এবং সঠিক মাধ্যমে খেলতে হবে।’
বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভুইয়া বলেন,‘ কালকের ম্যাচটি বড় ম্যাচ। ম্যাচে জয়ের বিষয়ে ফিলিস্তিনিরাই ফেভারিট। তবে এটি আমাদের হোম ম্যাচ। তাই নিজেদের সেরাটাই খেলতে হবে। কক্সবাজারের মাঠটি স্লো হবে কিনা সেটি বৃষ্টির উপর নির্ভর করবে। তবে যেমনই হোক সেখান থেকেই সুবিধা আদায় করতে হবে। রোদ হলে আমাদের জন্য ভাল। ফিলিস্তিনিরা এমন পরিস্থিতিতে কেমন করবে সেটি নিয়ে আমি ভাবছি না।’
স্বাগতিক অধিনায়ক বলেন,‘ বিশাল দেহী প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের বিপক্ষে আমাদের আগ্রাসী খেলা খেলতে হবে। নেপাল ও তাজিকদের বিপক্ষে তারা হেডে গোল করেছে। সুতরাং আমাদেরকে ছোট ছোট পাসে খেলতে হবে।
সবাই জানে এমন পরিস্থিতিতে আমরাই আন্ডার ডগ। যখন আপনি আন্ডার ডগ হিসেবে খেলবেন তখন চাপ থাকবে না। আমাদের দলে প্রতিষ্টিত গোলদাতার ঘাটতি রয়েছে। ম্যাচ যদি৭০/৮০মিনিট গড়ায় এবং ফিলিস্তিনিরা ওই সময়ে গোল করতে না পারে, তাহলে আমরা আক্রমনের কৌশল পরিবর্তন করব। ফিলিপাইনের বিপক্ষে তিন চারটি সুযোগ আমরা হাতছাড়া করেছি। আমরা গোল করার ক্ষেত্রে এখনো পারদর্শী হয়ে উঠতে পারিনি। বাংলাদেশ দলের জন্য সেটিই বড় সমস্যা। ১০ থেকে ১৫ বছর ধরেই বাংলাদেশ দলে এমনটি হয়ে আসছে।’
এদিকে, ফিলিস্তিনের কোচ আইলাদ আলী নুরুদ্দিনী গতকাল বলেছেন ‘বাংলাদেশ বেশ শক্তিশালী দল। সামর্থ্যও বেশ ভালো। তবে জয়ের জন্যই আমরা মাঠে নামবো। সেভাবেই আমরা প্রস্তুত হয়ে এসেছি।’

image_print


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: