
মসজিদে আল-নববীতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা মোবারক জিয়ারত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চার দিনের এক সরকারি সফরে বর্তমানে তিনি সৌদি আরবে রয়েছেন।
১৭ অক্টোবর, বুধবার প্রধানমন্ত্রী এই মসজিদে এশার নামাজ আদায় করেন এবং বাংলাদেশের জনগণের পাশাপাশি মুসলিম উম্মাহর অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করেন।
এর আগে তিনি সৌদি আরব এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে রিয়াদ থেকে পবিত্র মদিনা নগরীর প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ বিমানবন্দরে পৌঁছান।
প্রধানমন্ত্রী ১৮ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার সকালে জেদ্দার উদ্দেশে মদিনা ত্যাগ করবেন এবং দুপুরে সেখানে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের চ্যান্সেরি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এশার নামাজের পর মক্কায় পবিত্র ওমরাহ পালন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
১৯ অক্টোবর, শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উদ্দেশে জেদ্দার বাদশাহ আবদুল আজিজ বিমানবন্দর থেকে রওয়ানা হবেন। বাংলাদেশ সময় দুপুর পৌনে ১২টায় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ফ্লাইটটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
সৌদি বাদশাহর আমন্ত্রণে চার দিনের সফরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সৌদি আরবে পৌঁছান শেখ হাসিনা। বুধবার বিকেলে সৌদি আরবের আরগায়ে রাজপ্রাসাদে সৌদি বাদশাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী। সেসময় তাদের মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অসাধারণ উন্নয়নের প্রশংসা করেছেন সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ। তিনি বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। বৈঠক শেষে মধ্যাহ্ন ভোজে অংশগ্রহণ করেন শেখ হাসিনা।
পরে রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের নিজস্ব জায়গায় এবং নিজস্ব অর্থে নবনির্মিত চ্যান্সেরি ভবন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে যাত্রা শুরু করেছে এবং এই উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এ ছাড়া কাউন্সিল অব সৌদি চেম্বার ও রিয়াদ চেম্বার অব কমার্স নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকের পর বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শিল্প ও বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতাসংক্রান্ত পাঁচটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: