
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার প্রত্যান্ত পল্লীতে ‘সমাজসেবা অধিদপ্তর সাব-অফিস’ নামে ভূয়া ইউনিট খুলে এলাকার সাধারন মানুষের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় প্রতারকের মূল হোতা ইসমাইল হোসেনকে আটক করা হয়েছে। সমাজ সেবা অফিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের হাজারকি গ্রামে ‘হাজারকি সমাজসেবা অধিদপ্তর সাব-অফিস’ ইউনিট-৯ এর প্রতারক ইসমাইল হোসেন নিয়োগ পেয়েছেন বলে প্রচার করেন। সেই ইউনিটে এলাকার ৫০ জন নারী-পুরুষের কাছ থেকে রশিদ ছাড়ায় ৫ হাজার টাকাও আদায় করেন।
প্রতারক ইসমাইল হোসেন সদস্যদের বলেন হাজারকি গ্রামেই অফিসের ঘর স্থাপন করা হবে। এভাবে চলতি বছরের ১০ মাস এলাকার লোকজনের সাথে প্রতারণা শুরু করে। এরইমধ্যে উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার আব্দুল মোমিন জানতে পারেন গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই এলাকায় হামিদ বাজারে আরেকটি ভূয়া ইউনিট-১০ খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তখন সমাজ সেবা অফিসার ছদ্দবেশে হাজারকি হামিদ বাজারে অবস্থান করেন। বাজারের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে প্রতারক ইসমাইল হোসেনকে আটক করেন। এলাকাবাসীর কাছে ইসমাইল হোসেন প্রতারণার কথা স্বীকার করেন।
উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার আব্দুল মোমিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রতারক ইসমাইল হোসেন কে আটক করা হয়েছিল। তিনি নিজের ভূল বুঝতে পেরেছেন। এরপরে তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার শর্তে মুচলেকা নিয়ে তাকে ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য, এলাকাবাসী ও পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তার কাছ থেকে সমিতির সীল জব্দ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন এই উপজেলায় কোন সাব-অফিস নাই। অত্র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নূর মোহাম্মদ জানান, ভূয়া নাম দিয়ে ‘হাজারকি সমাজসেবা অধিদপ্তর সাব-অফিস’ ইউনিট-৯ খুলে ইসমাইল হোসেন প্রতারণা করছিল। সমাজসেবা অফিসার বন্ধ করে দিয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: