
বাতাসে লেগেছে হিমের পরশ। শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বক টানতে শুরু করে। চামড়া কুঁচকে ফেটেও যায় অনেক সময়। তাই শীতে ত্বকের যত্ন নিয়ে আলাদা করে ভাবতে হয় বইকি।
নারী-পুরুষ নির্বিশেষ শুষ্ক ত্বকের শিকার হলেও মেয়েদের ত্বকের প্রকৃতি বেশি নরম হওয়ায় শীতে তাদের ত্বক বেশি স্পর্শকাতর হয়ে পড়ে। তাই শীত এলেই নিজেদের ত্বকে আর্দ্রতা ফেরানো নিয়ে কমবেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েন মেয়েরা।
নানা শীতোপযোগী ফেসিয়াল বা দামি ক্রিমে আস্থা রাখতে শুরু করেন অনেকেই। তবে খুব বেশি খরচ না করেও কিন্তু ত্বককে জেল্লাদার ও আর্দ্র রাখা যায়। এর জন্য, হাতের কাছে মজুত দু’টি জিনিসই যথেষ্ট। খরচও একেবারে হাতের নাগালেই।
আপনার ত্বক যে প্রকৃতিরই হোক না কেন, গোটা শীত জুড়ে এক দিন অন্তর ব্যবহার করুন ডিম ও মধুর প্যাক। শুষ্ক হবেই না, বরং এই শীতেও চামড়ায় আসবে আলাদা জেল্লা।
আসুন জেনে নেই কী ভাবে তৈরি করতে হবে এই প্যাক:
একটি কাচের পাত্রে ডিমের সাদা অংশ ও তিন চামচ মধু মিশিয়ে নিন। মধু ঘন, তাই অল্প পানি দিয়ে ফেটিয়ে পাতলা করে নিন এই মিশ্রণ। ত্বকে মিনিট দশেক মাসাজ করার পর পনেরো মিনিট অপেক্ষা করুন। মধু এমনিতেই প্রাকৃতিক টোনার ও ময়শ্চারাইজার। তার সঙ্গে ডিমের সাদা অংশের প্রোটিন ত্বকের মৃত কোষ সরিয়ে নতুন কোষে আর্দ্রতা পৌঁছে দেয়। তাই এই প্যাক শীতে খুবই কার্যকর। প্যাক শুকিয়ে গেলে ভাল করে ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে নিন। যাঁদের ডিমের গন্ধে অসুবিধা হয়, তাঁরা মুখ ধোওয়ার সময় ময়শ্চারাইজার দেওয়া আছে এমন ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন।
মধু ও ডিম আমাদের বাড়িতে প্রায় সারা বছরই থাকে। সুতরাং, এই উপকরণগুলি খুবই সহজলভ্য। তা ছাড়া মধু ও ডিম সব রকম ত্বকের সঙ্গেই খাপ খায়। ডিম খেলে অনেকের অ্যালার্জি হলেও, ডিমের সাদা অংশ ত্বকে লাগালে খুব একটা সমস্যা হয় না। তাই এই প্যাক শীতে বড় ভরসা হয়ে উঠতেই পারে আপনার। তবে ডিমে অ্যালার্জি নিয়ে খুব ভয় থাকলে এই প্যাকে ডিমের বদলে টক দইও ব্যবহার করতে পারেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: