ঢাকা | বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

বাংলাদেশ একটি অসাধারণ সম্ভাবনাময় দেশ : জার্মান রাষ্ট্রদূত

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০১৮ ২০:০০

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০১৮ ২০:০০

বাংলাদেশে নবনিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেনহোলদ বলেছেন, বাংলাদেশ একটি অসাধারণ সম্ভাবনাময় দেশ। এ দেশে জার্মান ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগে বিশেষ করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে আজ সৌজন্য সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত একথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি খুবই সম্ভাবনাময় দেশ। এ দেশে জার্মান কোম্পানিগুলো স্বচ্ছন্দে ব্যবসা করছে। তারা বিশেষ করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে আরো বিনিয়োগ করতে চায়।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে প্রেস সচিব বলেন, বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যকার সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তদানিন্তন জার্মানির দুই অংশই সমর্থন দিয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনেও জার্মানি ব্যাপক সহায়তা দিয়েছে।
শেখ হাসিনা বৈঠকে বিভিন্ন সময় বিশেষ করে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের পর তাঁর জার্মানিতে অবস্থানের কথা উল্লেখ করেন।
জার্মান রাষ্ট্রদূত বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। জার্মানি এ পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য ৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দিয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা বুঝি শরণার্থীরা বাংলাদেশের জন্য একটি বোঝা। কারণ বিশ্বের অন্যান্য অংশের বিপুল সংখ্যক শরণার্থীকে আমরা আশ্রয় দিয়েছি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে জার্মানি প্রায় ৩শ’ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়েছে। জার্মানির সহায়তায় বাংলাদেশের ই-পাসপোর্ট প্রকল্প এগিয়ে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের কথা উল্লেখ করে বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পের কর্মীদেরও বেতন বেড়েছে।
তিনি বলেন, বিগত ১০ বছরে পোশাক শ্রমিকদের বেতন ৯শ’ টাকা থেকে বেড়ে ৮ হাজার টাকা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াসের প্রশংসা করেন রাষ্ট্রদূত।
বাংলাদেশে বিনিয়োগে জার্মান বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জার্মানির বিনিয়োগকারীরা বিশেষভাবে অর্থনৈতিক অঞ্চলে তাদের শিল্প স্থাপন করতে পারেন।
তিনি বলেন, স্থানীয় জনসাধারণের চেয়ে অধিকসংখ্যক রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে কক্সবাজারের জনতত্ত্ব বদলে গেছে।
প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মাদ জয়নুল আবেদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।--খবর বাসসের



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: