ঢাকা | সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে ৩৯টি দল

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বর ২০১৮ ০৮:০৩

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বর ২০১৮ ০৮:০৩

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন দাবিতে বিরোধীদলগুলো নির্বাচনে না আসার ঘোষণা দিলেও শেষ পর্যন্ত ৩৯টি দল থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়েছে।

এই নির্বাচনে প্রার্থী হতে সারাদেশে ৩০০ আসনে মোট তিন হাজার ৬৫টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে বলে ইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী লীগের ২৮১টি, বিএনপির ৬৯৬টি, জাতীয় পার্টির ২৩৩টি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের ১৩৫৭টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে।

দলীয় মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে মোট ২৫৬৭টি। আর স্বতন্ত্র ৪৯৮টি মনোনয়নপত্র মিলে মোট সংখ্যা তিন হাজার ৬৫টি।

ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি ও তার শরিকরা অংশ না নেয়ায় ব্যবস্থাপনায় তেমন চ্যালেঞ্জ ছিল না। কিন্তু এবার সবগুলো দল মনোনয়ন জমা দেয়ায় একে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে। ইতিমধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা কর্মকর্তাদের সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সার্বক্ষণিক সতর্ক থেকে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দিয়েছেন।

এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ (নৌকা) মার্কায় ২৮১ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি (ধানের শীষ) মার্কায় ৬৯৬জন প্রার্থী রয়েছে। জাতীয় পার্টি-জাপা (লাঙ্গল) মার্কায় ২৩৩ জন প্রার্থী। জাতীয় পার্টি-জেপি (বাইসাইকেল) মার্কায় ১৭ জন প্রার্থী। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি (কাস্তে) মার্কায় ৭৭ জন প্রার্থী রয়েছে। বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ (মই)মার্কায় ৪৯জন প্রার্থী। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ (মশাল) মার্কায় ৫৩ জন প্রার্থী রয়েছে। গণফোরাম (উদীয়মান সূর্য) মার্কায় ৬১ জন প্রার্থী। বিকল্পধারা বাংলাদেশ (কুলা) মার্কায় ৩৭জন প্রার্থী। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (তারা) মার্কায় ৫১ জন প্রার্থী। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (হাতপাখা) মার্কায় ২৯৯ জন প্রার্থী। বাংলাদেশ খেলাফল আন্দোলন (বটগাছ) মার্কায় ২৬ জন প্রার্থী। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ (গামছা) মার্কায় ৩৭জন প্রার্থী। লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি এলডিপি (ছাতা) মার্কায় ১৫ জন প্রার্থী। বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল-এমএল (চাকা) মার্কায় ৩ জন প্রার্থী। গণতন্ত্রী পার্টি (কবুতর) মার্কায় ৮ জন প্রার্থী। বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (কুড়েঘর) মার্কায় ১৪ জন প্রার্থী। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (হাতুড়ি) মার্কায় ৩৩ জন প্রার্থী। জাকের পার্টি (গোলাপ ফুল) মার্কায় ১০৮ জন প্রার্থী। বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি (গরুর গাড়ি) মার্কায় ১১ জন প্রার্থী। বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন (ফুলের মালা) মার্কায় ২০ জন প্রার্থী। বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (হারিকেন) মার্কায় ৪৯জন প্রার্থী। ন্যাশনাল পিপলস পার্ট (আম) মার্কায় ৯০ জন প্রার্থী। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ (খেঁজুর গাছ) মার্কায় ১৫ জন প্রার্থী। গণফ্রন্ট (মাছ) মার্কায় ১৬ জন প্রার্থী। প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল-পিডিপি (বাঘ) মার্কায় ১৬ জন প্রার্থী রয়েছে। বাংলাদেশ ন্যাপ (গাভী) মার্কায় ৪ জন প্রার্থী রয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (কাঁঠাল) মার্কায় ১৩ জন প্রার্থী রয়েছে। ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ (চেয়ার) মার্কায় ২৮ জন প্রার্থী। বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি (হাতঘড়ি) মার্কায় ৫ জন প্রার্থী রয়েছে। ইসলামী ঐক্যজোট (মিনার) মার্কায় ৩২ জন প্রার্থী রয়েছে। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিম (রিকশা) মার্কায় ১২ জন প্রার্থী রয়েছে। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট (মোমবাতি) মার্কায় ২১ জন প্রার্থী রয়েছে। জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা (হুক্কা) মার্কায় ৬ জন প্রার্থী রয়েছে। বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি (কোদাল) মার্কায় ৩০জন প্রার্থী রয়েছে। খেলাফত মজলিশ (দেয়ালঘড়ি) মার্কায় ১২ জন প্রার্থী নির্বাচন করবে। বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল (হাতপাঞ্জা) মার্কায় ১৭ জন প্রার্থী রয়েছে। বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (ছড়ি) মার্কায় ১ জন প্রার্থী রয়েছে। বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ (টেলিভিশন) মার্কায় ৭১ জন প্রার্থী নির্বাচন করবে।

দশম সংসদ নির্বাচনে ১২টি দল অংশ নেয়। নবম সংসদে ৩৮, অষ্টম সংসদে ৫৫, সপ্তম সংসদে ৮১, ষষ্ঠ সংসদে ৪২, পঞ্চম সংসদে ৭৫, তৃতীয় সংসদে ২৮, দ্বিতীয় সংসদে ২৯ এবং প্রথম সংসদ নির্বাচনে ১৪টি দল অংশ নেয়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: