ঢাকা | শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২

জুমআ’র নামাজে হেঁটে উপস্থিত হওয়া অনেক বেশি সওয়াবের

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ২৩:৪১

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ২৩:৪১

জুমার নামাজে হেঁটে উপস্থিত হওয়া মুসল্লিদের জন্য উত্তম ও ফজিলতপূর্ণ। কারণ, হেঁটে জুমায় যাওয়া রাসুল (সা.) এর সুন্নত। অবশ্য মসজিদ যদি বেশি দূরে হয়, তখন কষ্ট করে হেঁটে যাওয়ার দরকার নেই।

এবিষয়ে রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল (ফরজ) অথবা (সাধারণ) গোসল করলো, তাড়াতাড়ি মসজিদে গেল অথবা যাওয়ার চেষ্টা করল, যাওয়ার পথে কোনো কিছুতে আরোহন না করে হেঁটে গেল, ইমামের কাছে ঘেঁষে বসল, কোনো প্রকার অহেতুক কথাবার্তা না বলে মনোযোগের সঙ্গে খুতবা শোনে ও নামাজ আদায় করে, তাহলে তার প্রতিটি কদমের (পদক্ষেপ) বিনিময়ে এক বছর রোজা ও নামাজের সওয়াব দেয়া হবে। (তিরমিজি, হাদিস নম্বর: ৪৫৬)

অন্যান্য সাহাবায়ে কেরামের মতো রাসুল (সা.) এর প্রিয় সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা (রা.) মসজিদে হেঁটে আসতেন, তবে ফিরে যাওয়ার সময় কখনো হেঁটে যেতেন, আবার কখনো আরোহন করে যেতেন। (ইবনে আবি শায়বা)।

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, যখন নামাজ শুরু হয়, তখন দৌঁড়ে গিয়ে নামাজে যোগদান করবে না, বরং হেঁটে গিয়ে নামাজে যোগদান করবে। সালাতে ধীর-স্থিরভাবে যাওয়া তোমাদের জন্য অপরিহার্য। কাজেই জামাআতের সঙ্গে নামাজ যতটুকু পাও তাই আদায় কর। আর যা ছুটে গেছে তা পূর্ণ করে নাও।’ (বুখারি)

পায়ে হেঁটে মসজিদে গিয়ে জুমআর নামাজ আদায়ের মাধ্যমে ঘোষিত ফজিলত লাভ করা মুসলিম উম্মাহর জন্য উত্তম। তাছাড়া নামাজের জামাআতে অংশগ্রহণের জন্য তাড়াহুড়ো করার কথা রাসুলুল্লাহ (সা.) নিষেধ করেছেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: