
সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি: মুন্সীগঞ্জ-১ (সিরাজদিখান-শ্রীনগর) আসনে বিএনপির মনোনিত প্রার্থী শাহ মোয়াজ্জেমের গাড়িতে হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করা হয়েছে। গত রোববার বিকেলে সিরাজদিখান থানা পুলিশ বাদি হয়ে ৪০১ জন বিএনপির নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
প্রত্যাক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার বিকাল আনুমানিত ৪ টায় উপজেলা পাথরঘাটায় নেতা কর্মীদের সাথে উঠান বইঠক করার উদ্দেশ্যে কুচিয়ামোড়া এলাকায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক উপ-প্রধানমুন্ত্রী মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী শাহ মোয়াজ্জেম গাড়ি বহর পৌছালে ১০/১৫ জনের একদল অতর্কিত হামলা চালায়। তখন এখানে কোন পুলিশ ছিল না। জ্জ টি গাড়ির গ্লাস ভাঙ্গচুর হয়। তখন বেশ কয়েকজন ভাঙা কাচে আহত হয়।
মামলা ও হামলার বিষয়ে শাহ মোয়াজ্জেমের গাড়ি বহরে থাকা সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস প্রথম আলোকে বলেন, বিকেলে আমাদের গাড়িতে হামলা হয়। সে সময় ঘটনা স্থলে কোন পুলিশ ছিলনা । সন্ধা ৭ টায় পুলিশের সাথে আমাদের দেখা হয় । তাহলে তারা আহত হলেন কি ভাবে? মামলাটি এজন্যই করা হয়েছে যেন আমরা ভােটের মাঠে থাকতে না পারি।
সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, শনিবার বিকেলে বিএনপির প্রার্থী শাহ মোয়াজ্জেম ও আরেক মনোনয় বঞ্চিত নেতা শেখ আব্দুলাহর পরে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় দুপরে সংঘর্ষে ঘটনায় থানা পুলিশের দুই উপপরিদর্শক আশরাফুল ও মাহিদুল সহ ৫ জন পুলিশ আহত হয়। তিনি জানান বিএনপির ওই দুপরে কারো কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া যায়নি। পুলিশের উপর আক্রমন ও ককটেল বিষ্ফোরনের অভিযোগে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন সহ ২৫১ জনের নাম উল্ল্যেখ করে অজ্ঞাত আরো এক থেকে দেড়শ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে। মামলার বাদি এসআই আশরাফুল।
উল্লেখ্য গত শনবিার শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন তার লোকজন নিয়ে উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের পাথর ঘাটা এলাকায় একটি উঠান বৈঠক করার জন্য যাচ্ছিলেন। শাহ মোয়াজ্জেমের গাড়ি কুচিয়া মোড়া কলেজ গেট এলাকায় পৌছালে, সেখানে পূর্ব থেকে অবস্থান নেয়া লোকজনের একটি দল গাড়িতে আক্রমণ করে। লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গাড়ি ভাংচুর করে। এ ঘটনায় গাড়িতে থাকা ৮-১০ জন কাচের আঘাতে আহত হয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: