ঢাকা | মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২

জয় দিয়ে শেষ হলো বছরের শেষ ওয়ানডে

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৩:০৩

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৩:০৩

‘ফরম্যাট যত ছোট, ততো ভয় ক্যারিবীয়দের।’ টাইগার অধিনায়কের কথাটা অল্প হলেও প্রমাণ করতে পারলো সফরকারীরা। বাংলাদেশ দলের যত ভয় ছিল ক্যারিবীয়দের ‘মাসল পাওয়ার’ নিয়ে। একমাত্র শাই হোপ ছাড়া বাকি ব্যাটসম্যানরা তার ছিটেফোঁটাও দেখাতে পারেনি ওয়ানডে সিরিজে।

চলতি বছরের জুলাইতে নিজেদের মাটিতে বাংলাদেশের কাছে ২-১ ম্যাচে সিরিজে হেরেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেটার একটা প্রতিশোধ নিতে পারতো ক্যারিবীয়রা। কিন্তু ঘটল তার উল্টো চিত্র!

নিজেদের মাঠে বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য সেটা বিশ্ব ক্রিকেটের ভালোই জানা। দেশে-বিদেশে চলতি বছরে এ নিয়ে ১৩তম ওয়ানডে ম্যাচ জিতল ২০ ম্যাচ খেলে। এই সিরিজসহ ২০১৮ সালে তৃতীয় সিরিজ জয়। জুলাইতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নভেম্বরে জিম্বাবুয়ে আর ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

সিলেটের মাঠে এটাই প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ। অচেনা উইকেটে দুপুরে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ অধিনায়কের।

ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা থেকে শেষ, একমাত্র শাই হোপ ছাড়া গোটা ৫০ ওভারই অস্বস্তির ছিল ক্যারিবীয়দের জন্য।

সিরিজ সমতায় ছিল বলে দুই দলের জন্যই ছিল সিরিজ জয়ের সমান সুযোগ।

যার জন্য সাবধানী ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই হারিয়ে বসে ওপেনার চন্দরপল হেমরাজের উইকেট।

ইনিংস শুরুর দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে ক্যারিবীয় ওপেনার চন্দরপল হেমরাজকে ফিরিয়ে ক্যারিবীয় ব্যাটিং লাইনআপের ধ্বংসযজ্ঞটা শুরু করেন মেহেদী মিরাজ। ব্যক্তিগত ৯ রানের মাথায় ক্যাচ দেন মোহাম্মদ মিঠুনের হাতে।

এরপর শুরু হয় ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানদের বিরতিহীন উইকেট যাওয়া-আসার মিছিল!

ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানরা যখন নিয়মিত বিরতিতে যাওয়া-আসার মিছিলে নেমেছিলেন, তখনও নিজের কক্ষপথ থেকে নড়েননি হোপ। হোপের ব্যাটে আশা দেখেছেন ক্যারিবীয়রা, নিজে তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ শতক!

হোপের শতক ছাড়া বাকি নয় ব্যাটসম্যানের কেউই কুড়ি রানের কোটা পার করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১৩১ বলে ১০৮ রানে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছেড়েছেন ক্যারিবীয় ওপেনার। ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ক্যারিবীয়দের সংগ্রহ ১৯৮ রান।

মিরাজ নিয়েছে ৪টি উইকেট, সাকিব আর মাশরাফি নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন নেন ১টি উইকেট।

১৯৯ রান তাড়া করার লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে তামিম-লিটন মিলে শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। চার বাউন্ডারিতে ২৩ রান করা লিটন দাস খেই হারালেন কেমো পলের বলে চেজের কাছে ক্যাচ দিয়ে।

সৌম্যকে এদিন পাঠানো হয় তিন নম্বরে ব্যাট করতে। আগের দুই ম্যাচে ছয়ে ব্যাট করে সুবিচার করতে পারেননি নিজের নামের সঙ্গে। আজ তামিমের সঙ্গে জুটি গড়ে করেছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সপ্তম অর্ধশতক। তামিমও তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৪৪তম অর্ধশতক।

১৯৮ রানের লক্ষ্যটা মামুলি করতে দুজন মিলে জুটি গড়েন ১৩১ রানের। জয়ের জন্য ২৩ রান বাকি থাকতে সৌম্য আউট হয়ে যান ৮০ বলে ৮০ রান করে।

শেষদিকে মুশফিকের ১৭ আর তামিমের অপরাজিত ৮১ রানে ভর করে ৩৮.২ ওভারে ৮ উইকেটের বিশাল জয়ে বছরের শেষ ওয়ানডে কিংবা ওয়ানডে সিরিজ জয় বাংলাদেশের। ক্যারিবীয়দের হয়ে দুই উইকেটই নেন কেমো পল।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: