ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫, ২৭ চৈত্র ১৪৩১

জামায়াত প্রার্থীদের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে করা রিটের শুনানি শুরু

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৯:৫২

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৯:৫২

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের প্রার্থীদের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে দায়ের করা রিট আবেদনের শুনানি শুরু হয়েছে।
আজ সোমবার তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী এ রিট দায়ের করেন। বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলী সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভেমন বেঞ্চে এ রিট আবেদনের ওপর আজ আংশিক শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রায় ৪০ মিনিট শুনানি শেষে আদালত আগামীকাল মঙ্গলবার পরবর্তী শুনানির সময় ধার্য করে দেয়।
রিটকারীর পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন নেই। নিবন্ধনহীন একটি দলের প্রার্থীরা কীভাবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হন- এ যুক্তিতে রিটটি দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ কয়েকজনের দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হয়।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুই জোটের শরিকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আসনে জামায়াতকে ছাড় দিয়েছে বিএনপি। ২৩ দলীয় জোটের শরিক দল জামায়াতে ইসলামীকে ২২টি আসন দেয়া হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধন হারানো জামায়াত এবার ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তারা দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে ভোট করে দুটি আসনে জয়ী হন।
২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২-এর আওতায় রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামী নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীকে নিবন্ধন দেয়া হয়েছিল। দলটির নিবন্ধন নম্বর ছিল ১৪।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: