ঢাকা | শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১

চলচ্চিত্র হয়ে উঠুক অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠনের হাতিয়ার : রাষ্ট্রপতি

Admin 1 | প্রকাশিত: ৩ এপ্রিল ২০১৭ ১১:০১

Admin 1
প্রকাশিত: ৩ এপ্রিল ২০১৭ ১১:০১

রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ চলচ্চিত্রকে মানবিক সমাজ গঠনের পাশাপাশি জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নির্মূলসহ অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠনের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার গড়ে উঠার আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন। তিনি বলেন, দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে চলচ্চিত্রে মহান স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস এবং মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাঁথা তুলে ধরতে হবে, যাতে তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে উন্নত ভবিষ্যৎ গড়তে নিরন্তর অনুপ্রেরণা লাভ করতে পারে। আজকাল কিছু বিপথগামী তরুণ জঙ্গিবাদসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে ঝুঁকে পড়ছে যা আমাদের জন্য এক অশনিসংকেত।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মানবিক সমাজ গঠনের পাশাপাশি চলচ্চিত্র হয়ে উঠুক জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নির্মূলসহ অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠনের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার- এ আমার প্রত্যাশা।’ তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস-২০১৭ উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে এ প্রত্যাশার কথা বলেন। আগামীকাল ৩ এপ্রিল জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস।
এ দিনটি আমাদের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় দিন উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালের এই দিনে তৎকালীন প্রাদেশিক পরিষদে শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন বিল উত্থাপন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠিত হয়। ঐতিহাসিক এই দিনটিকে জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস ঘোষণা বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত মন্তব্য করে তিনি বলেন, তাঁর বিশ্বাস, দিবসটি উদ্যাপনের ফলে আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পের আরো উন্নয়ন ঘটবে, সৃষ্টি হবে জীবনঘনিষ্ঠ চলচ্চিত্র।
আব্দুল হামিদ তাঁর বাণীতে বলেন, সমাজ উন্নয়নে চলচ্চিত্রের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জীবনঘনিষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মল বিনোদনের পাশাপাশি সমাজ উন্নয়ন, শিক্ষার প্রসার ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অপরদিকে অশ্লীল ও নিম্নরুচির চলচ্চিত্র যুবসমাজের নৈতিক অবক্ষয় ঘটানোসহ সমাজে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
তিনি জাতীয় ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে চলচ্চিত্র নির্মাণ করার জন্য নির্মাতাসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘তাই আমি নির্মাতাসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানাই, আপনারা জাতীয় ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে চলচ্চিত্র নির্মাণ করুনÑ যা বিনোদনের পাশাপাশি মানবিক উৎকর্ষ সাধনে সহায়ক হয়।’
রাষ্ট্রপতি জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস-২০১৭ উপলক্ষে চলচ্চিত্র শিল্পী ও কলাকুশলী, নির্মাতা, প্রযোজক, পরিবেশক, দর্শকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান এবং তথ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস’ ২০১৭ উদ্যাপনে সাফল্য কামনা করেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: