ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫, ২৭ চৈত্র ১৪৩১
একজন জননেতা ওবায়দুল কাদের

মাদার অফ হিউম্যানিটি, ড. দেবীসেঠী, মাউন্ট এলিজাবেথ

gazi anwar | প্রকাশিত: ৪ মার্চ ২০১৯ ১৭:৪৯

gazi anwar
প্রকাশিত: ৪ মার্চ ২০১৯ ১৭:৪৯

আজ বিকেল ৪টা ৭ মিনিটে কাদেরকে নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সেটি ঢাকা ত্যাগ করে। 

 উপমহাদেশের প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবী শেঠি।যার পরামর্শে ওবায়দুল কাদেরকে বিমানে ওঠানো হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ অনুরোধে প্রখ্যাত এই হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ঢাকায় এসেছেন বলে জানিয়েছেন বিএসএমএমইউর হৃদরোগবিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা.মোস্তফা জামান।

ডা. দেবী শেঠিকে গ্রহণ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকদের একটি প্রতিনিধি দল বিমানবন্দ থেকে নিয়ে আসে।
এর আগে রবিবার রাতে ঢাকায় আসেন সিঙ্গাপুরের বিশেষজ্ঞ ৩ চিকিৎসক। তাদের পরামর্শে এই মুহুর্তে ওবায়দুল কাদেরকে বিদেশে নেওয়া হচ্ছে না বলে জানানো হয়।

ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসায় গঠিক মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য জানান, সিঙ্গাপুর থেকে একজন হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞ, একজন পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ও একজন টেকনিশিয়ান এসেছেন। তারা ওবায়দুল কাদেরের রিপোর্ট ও তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন। ওবায়দুল কাদেরের অবস্থা একটু উন্নতি হয়েছে। এ কারণে আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত দেখা হবে,বলে গতকাল জানানো হয়।


মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে পৌঁছাতে চার ঘণ্টার মতো সময় লাগতে পার

এর আগে দুপুরে ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেছেন ভারত থেকে আসা প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠি। সার্বিক অবস্থা তার সঙ্গে যাচ্ছেন স্ত্রী ইশরাতুন্নেসা কাদের ও বিএসএমএমইউ’র নিউরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. আবু নাসের রিজভী।

মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে পৌঁছাতে চার ঘণ্টার মতো সময় লাগতে পার।

এর আগে, সোমবার বেলা ৩টা ২০ মিনিটের দিকে কাদেরকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) থেকে বের হয়।

দেবী শেঠীর প্রসঙ্গ টেনে ডা. কনক কান্ত বড়ুয়া বলেন, দেবী শেঠী বলেছেন ইউরোপ-আমেরিকায় যে ধরনের চিকিৎসা হয় এখানে তার চেয়ে কোনো অংশে কম হয়নি। খুব ভালো চিকিৎসা হয়েছে। ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে দেবী শেঠী বলেন, ইউর হাসবেন্ড ইজ লাকি। যে চিকিৎসা করা হয়েছে এর চেয়ে বেশি কিছু করার নেই। তিনি এখন সেভ পজিশনে আছেন।

এনজিওগ্রামে ওবায়দুল কাদেরের হৃদপিণ্ডের রক্তনালীতে তিনটি ব্লক ধরা পড়লে স্টেন্টিংয়ের মাধ্যমে একটি অপসারণ করেন চিকিৎসকরা। তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও এখনও সঙ্কট কাটেনি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: