ঢাকা | শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১

এদিকে সাকিব, ওদিকে মালিঙ্গা

Admin 1 | প্রকাশিত: ৪ এপ্রিল ২০১৭ ২২:৪৭

Admin 1
প্রকাশিত: ৪ এপ্রিল ২০১৭ ২২:৪৭

অধিনায়ক মাশরাফি বলে গেলেন, দল নিয়ে কাল সন্ধ্যা পর্যন্তও কোনো আলোচনা হয়নি। রাতে উইকেট বা মাঠের পরিবেশ কেমন থাকে, শিশির পড়ে কি না, সেসব বিবেচনায় নিয়েই একাদশ সাজাবে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট। তাতে টি-টোয়েন্টিতেও দেখা যেতে পারে মেহেদী হাসান মিরাজের অভিষেক।
কিন্তু বাংলাদেশের কোন খেলোয়াড়কে এ ম্যাচে সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী হিসেবে দেখছেন মাশরাফি? তাঁর মুখে প্রথমেই এল সাব্বির রহমানের নাম। তারপর তামিম ইকবাল। তৃতীয় নামটি সাকিব আল হাসান। তবে সাকিবের নাম উচ্চারণ করে একটি কথা যোগ করলেন, ‘অবশ্যই বা অনিবার্যভাবে’।
সাকিবের নাম পরে আসুক বা আগে, এই স্বল্পদৈর্ঘ্যের ক্রিকেটের পৃথিবী বাংলাদেশের সাকিবকেই চেনে সবার আগে। টি-টোয়েন্টির পরিব্রাজক, খেলে বেড়ান বিশ্বময়। আজ ঘরের মাঠে তো কাল ভারতের আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সে। অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশের দল অ্যাডিলেড স্ট্রাইকারসে তো ওয়েস্ট ইন্ডিজের জ্যামাইকা তালওয়াশে। খেলেছেন পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি লিগ পিএসএলেও। টি-টোয়েন্টিতে তাঁর মতো অভিজ্ঞতা বাংলাদেশ দলের আর কারোর নেই। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটসমাজও ওই সাকিবকেই আলাদা চিহ্ন দিয়ে রেখেছে। পরশু হোটেল তাজ সমুদ্রের লবিতে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট ম্যানেজার অশাঙ্ক গুরুসিনহাও বাংলাদেশ দলের প্রসঙ্গ উঠতে প্রথমেই বললেন সাকিবের নাম।
সাকিব যদি হন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টির মুখ, শ্রীলঙ্কার তাহলে লাসিথ মালিঙ্গা। চোটের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াই শেষে গত অস্ট্রেলিয়া সফরে টি-টোয়েন্টি দিয়ে ফিরেছেন শ্রীলঙ্কা দলে। প্রেমাদাসায় বাংলাদেশ যখন ডাম্বুলা-যাত্রার আগে অনুশীলন করেছে, মালিঙ্গা তখন থেকেই এখানকার নেটে। কিংবা মূল মাঠের মাঝখানে। একদিন অনুশীলন শেষ করে নিজের গাড়িতে ওঠার সময়ে মালিঙ্গা নিজেই বলেছিলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য অধীর অপেক্ষায় আছেন।
হোটেল থেকে শ্রীলঙ্কা দল অনুশীলনের জন্য বেরোচ্ছে, মালিঙ্গা যেন দলনেতা। সবার আগে তিনি। পেশিবহুল শরীরে ফুটে বেরোচ্ছে আত্মবিশ্বাস। সাকিবের আগেই টি-টোয়েন্টির পরিব্রাজকের তকমা এই মালিঙ্গার গায়ে। আইপিএল, বিগ ব্যাশ, সিপিএলে তাঁরও নিত্য যাতায়াত।
আইপিএল-সিপিএলে সাকিব ও মালিঙ্গা প্রায়ই মুখোমুখি হন। সেখানে কখনো সাকিব থাকেন বিজয়ী দলে, কখনো মালিঙ্গা। মালিঙ্গা যদি তাঁর ইয়র্কারে ঘাবড়ে দেন ব্যাটসম্যানদের, সাকিব তাঁর চতুর বাঁহাতি স্পিনেও কম যান না। দুজন প্রায় সমানসংখ্যক আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। মালিঙ্গা ৬৫ ম্যাচ, সাকিব ৫৭। মালিঙ্গার ৮৪ উইকেট, সাকিবের ৬৭। মালিঙ্গা একবার ৫ উইকেট পেয়েছেন, সাকিব একবারও না। তবে সাকিব যেখানে তিনবার ইনিংসে ৪ উইকেট পেয়েছেন, সেখানে মালিঙ্গা মাত্র একবার।
টি-টোয়েন্টির বোলিংয়ে প্রভাব বিবেচনায় মনে হয় না মালিঙ্গার চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছেন সাকিব। বোলিংয়ে না হলে টি-টোয়েন্টির বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার আছেন ব্যাটিংয়েও! টি-টোয়েন্টিতেও তিনি বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের বড় নির্ভরতা।
আজ রাতের প্রেমাদাসায় ফ্লাডলাইটের নিচে ব্যাট হাতে কেউ হয়তো ঝড় তুলবেন। বাংলাদেশের হয়ে কে তুলবেন? সাব্বির? তিন সংস্করণেই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের মালিক তামিমও হয়তো কেড়ে নিতে পারেন সব আলো। শ্রীলঙ্কা ঝড় দেখতে পারে আসেলা গুনারত্নে, চামারা কাপুগেদারা বা থিসারা পেরেরার ব্যাটে।
তবে আসল লড়াইটা বোধ হয় হবে দুই দলের দুই টি-টোয়েন্টি পরিব্রাজকের মধ্যে। সাকিব আল হাসান বনাম লাসিথ মালিঙ্গা।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: