
ক্রীড়া: তিন ফরম্যাটেই অধিনায়কের পদ হারালেন আসগর আফগান। ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট—তিন ফরম্যাটের জন্য অধিনায়ক হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়েছে যথাক্রমে গুলবাদিন নাইব, রশিদ খান ও রহমত শাহ’র। এর অর্থ হলো বিশ্বকাপে নতুন অধিনায়ক নিয়ে যাচ্ছে আফগানিস্তান।
সহ-অধিনায়কের পদেও রদবদল এনেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)। ওয়ানডেতে ডেপুটি হিসেবে লেগ স্পিনার রশিদ খানকে পাচ্ছেন গুলবাদিন নাইব। অন্যদিকে টি-টোয়েন্টি ও টেস্টে সহ-অধিনায়ক থাকবেন যথাক্রমে শফিকুল্লাহ শফিক ও হাশমতউল্লাহ শহীদি। নতুন যাদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে এর মধ্যে এক রশিদ খান বাদে আর কারোরই আগে অধিনায়কত্ব করার অভিজ্ঞতা নেই। রশিদ আগে চারটি ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিয়েছেন আফগানদের।
সর্বশেষ অধিনায়ক আসগর আফগান ২০১৫ সালের এপ্রিলে দলের দায়িত্ব নেন। তিনি দায়িত্ব নিয়েছিলেন সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ নবীর কাছ থেকে। তার অধীনে আফগানরা ৫৬ টির মধ্যে ৩১টি ওয়ানডে জিতেছে। এর বাদে ৪৬টি টি-টোয়েন্টি থেকে তিনি ৩৭ টিতেই দলকে জিতিয়েছেন।
এর বাদে আফগানদের ইতিহাসের প্রথম টেস্টেও অধিনায়ক ছিলেন তিনি। অধিনায়ক হিসেবে তিনি দ্বিতীয় টেস্টেই দলকে জয় এনে দেন। ২০০৯ সাল থেকে জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ এই আসগর আফগান। গেল ডিসেম্বরে তিনি ৩১-এ পা দিয়েছেন।
বোঝাই যাচ্ছে, এসিবি এখন তরুণদের নেতৃত্বে দেখতে চায়। কারণ, নতুন যে তিনজনকে অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রত্যেকের বয়সই ৩০-এর নিচে। রশিদের বয়স ২০, রহমতের ২৫ ও নাইবের ২৮।
এসিবি চেয়ারম্যান আজিজুল্লা ফজলিও মনে করছেন, নেতৃত্ব বদলানোর জন্য এখনই সঠিক সময়। তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপে আমরা নয়টি পূর্ণ সদস্য দলের বিপক্ষে খেলার সুযোগ পাবো। তাই আমি মনে করি, নেতৃত্বে নতুনত্ব আনার এটাই সঠিক সময়।’
আগামী এক জুন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে আফগানিস্তানের বিশ্বকাপ। যদিও, এর আগেই নিজেকে ঝালাই করে নেওয়ার সুযোগ পাবেন নাইব। মে মাসেই স্কটল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি করে ম্যাচ খেলবে আফগানিস্তান। এরপর একটি করে ম্যাচ খেলবে পাকিস্তান ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: