ঢাকা | শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন সুইডিশ কারিগরি সহায়তায় টঙ্গীতে এর কারখানা।

আমরা যখন তৃষ্ণা মিটাচ্ছি, একজন স্বাবলম্বী প্রতিবন্ধীর মুখে তৃপ্ত হাসি ফুটে উঠছে,

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ৯ এপ্রিল ২০১৯ ১৩:৩৩

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ৯ এপ্রিল ২০১৯ ১৩:৩৩

আমরাই মুক্তার মার্কেটিং করবো

রাফিউজ্জামান সিফাত

মুক্তা ব্র্যান্ডের পানির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এর উৎপাদন প্রক্রিয়ার শুরু থেকে শেষ যুক্ত প্রায় তিনশ’র অধিক প্রতিবন্ধী ভাই বোনেরা। তাদের দ্বারাই পরিচালিত হয় মুক্তা পানির কারখানা। পানির বিক্রয় থেকে যে লাভ হয়, তা সম্পূর্ণভাবে ব্যয় হয় প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে।

এই পানির বিশুদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন নেই, কারণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, জাতীয় সংসদ সচিবালয় থেকে শুরু করে সরকারী/ আধা-সরকারী/ স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে অফিসিয়াল পানি হিসেবে ব্যবহার করা হয় মুক্তা ব্যান্ডের পানি।

আমাদের মন্ত্রী-সংসদ সদস্যরা আর যাই হোক নিজেদের ক্ষতি হয় এমন কিছু করবে না। উনারা যেহেতু এই পানি পান করে সুতরাং মুক্তা ব্র্যান্ডের পানি বিশুদ্ধ ও নিরাপদ। দামেও দারুণ সস্তা।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন সুইডিশ কারিগরি সহায়তায় টঙ্গীতে এর কারখানা।

মুক্তা পানির বোতল হিসেবে কিছুটা অপরিচিত লাগতে পারে। সাধারণত রেস্টুরেন্টে, হোটেলে, দোকান এই পানির বোতল দেখা যায় না। দেখা যায় কোকা কোলা ব্র্যান্ডের কিনলে, দেখা যায় মাম, জীবন, একমি। কারণ এই সব ব্র্যান্ডের পিছনে খরচ হয় লক্ষ কোটি টাকার মার্কেটিং, প্রতিটি শহরের মহল্লায় মহল্লায় এদের ডিলাররা পৌঁছে গেছে। দেশীয় ব্র্যান্ডের মুক্তা সেখানে অনেক পিছনে।

এখন কথা হচ্ছে, এই পানি তো সব জায়গায় পাওয়া যায় না। চাইলেও তো কিনতে পারব না। তাহলে উপায় কী?

উপায় আমরা। আমরাই মুক্তার মার্কেটিং করবো। আজ থেকে যখনই পানি কিনতে যাবো, দোকানদারকে বারবার জিজ্ঞাস করবো মুক্তা ব্র্যান্ডের পানি আছে নাকি। রেস্টুরেন্টে কিংবা হোটেলে খেতে বসে বলব, আমাকে মুক্তা ড্রিংকিং ওয়াটার দিন। প্রথম প্রথম তাদের কাছে থাকবে না, স্বাভাবিক, কারণ বিদেশী ব্র্যান্ডের সাথে পাল্লা দিয়ে মুক্তা এখনও বাজারে ঢুকতে পারেনি।

কিন্তু কাস্টমারের ক্রমাগত চাহিদাও আগ্রহের ফলে একসময় কিনলে, মামের বোতলের বদলে ওয়াটাররা মুক্তা ব্র্যান্ডের পানি বোতল নিয়ে দৌড়ে আপনার কাছে ছুটে আসতে বাধ্য হবে। আমরা ডিম্যান্ড তৈরি করলে ওরা সাপ্লাই দিতে বাধ্য। লাগবে না তর কোটি টাকার মার্কেটিং।

পানি যখন কিনছিই, তখন আমাদের প্রতিবন্ধী ভাই বোনদের তৈরি দেশীয় ব্র্যান্ডের পানিটাই না হয় কিনি।

আমরা যখন তৃষ্ণা মিটাচ্ছি, একজন স্বাবলম্বী প্রতিবন্ধীর মুখে তৃপ্ত হাসি ফুটে উঠছে, দৃশ্যটি কতই না মায়াময় ও সুন্দর!



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: