
চট্টগ্রাম,১৪ এপ্রিল ২০১৯ (অধিকারপত্র):তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী গণমাধ্যমবান্ধব বলেই আজকে বাংলাদেশে টেলিভিশনের সম্প্রসারণ হয়েছে। বিস্তার ঘটেছে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার। গত ১০ বছরে পত্রিকা প্রকাশের সংখ্যা ৪০ শতাংশ বেড়েছে।
শনিবার বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের ৬ ঘণ্টা অনুষ্ঠানকে ৯ ঘণ্টায় উন্নীতকরণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে প্রধানমন্ত্রী প্রথম বেসরকারি টেলিভিশনের দ্বার উন্মোচন করেন একুশে টেলিভিশনকে লাইসেন্স দেয়ার মাধ্যমে। বর্তমানে দেশে ৪৬টি টেলিভিশন আছে। সম্প্রচারে আছে ৩৩টি। আরো কয়েকটি সম্প্রচারের অপেক্ষায়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই যে গণমাধ্যম বিপ্লব- সেটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক ইচ্ছায়। কলকাতায়ও এত টেলিভিশন চ্যানেল নাই। এক্ষেত্রে আমরা কলকাতা-পশ্চিমবঙ্গ থেকে এগিয়ে।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ যখন সরকার গঠন করেন তখন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৪০ লাখ। বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ৯ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। প্রায় ৫ কোটি মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেন।
বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের মানসম্পন্ন অনুষ্ঠান-নির্মাণে কোনো আপস ব্যবহার করা হবে না জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের যেনতেনভাবে, তদবির করে যে কেউ আর অনুষ্ঠান করতে পারবে না। পেশাদার, যোগ্য ব্যক্তিরাই অনুষ্ঠান নির্মাণে অগ্রাধিকার পাবে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেশের বাকি ৬টি বিভাগীয় শহরে বিটিভির কেন্দ্র স্থাপন করার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। একনেক ইতোমধ্যে এ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে।
মন্ত্রী একটি আধুনিক স্টুডিও নির্মাণের পাশাপাশি চট্টগ্রাম টেলিভশন কমপ্লেক্স অভ্যন্তরে এফডিসির একটি আউটলেট করারও ঘোষণা দেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুল মালেক।
এতে বক্তব্য দেন- চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক হারুন অর রশিদ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: