
মুক্তির বার্তা বয়ে আনুক শবেবরাত

লাইলাতুল বরাত ও লাইলাতুল কদর এ দুটি রাতকে অত্যন্ত পবিত্র রাতের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে ইসলামে। লাইলাতুল বরাত এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের কাছে শবেবরাত হিসেবে পরিচিত। এ রাত মুমিনদের কাছে গুনাহ থেকে মুক্তির বার্তা নিয়ে আসে। ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে মহান আল্লাহর কাছে বান্দার ক্ষমাপ্রার্থনা এবং আত্মশুদ্ধির রাত এটি। বরাতের শাব্দিক অর্থ হলো ‘ভাগ্য’ কিন্তু অন্তর্নিহিত অর্থে এটি মুক্তি, নিষ্কৃতি ও অব্যাহতির রাত। এ রাতে আল্লাহতায়ালা পাপীদের ক্ষমা করেন, নিষ্কৃতি দেন ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির বার্তা দেন বলে এ রাতকে ‘লাইলাতুল বরাত’ বা ‘শবেবরাত’ বলা হয়। পানাহ লাভের আশায় মুমিনরা এ রাতে নিজের অপরাধের জন্য অনুতপ্ত হয়ে চোখের পানি ঝরান। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতোই বাংলাদেশের মুসলমানরা অত্যন্তু গুরুত্বের সঙ্গে শবেবরাত পালন করে থাকে। দীর্ঘদিনের চর্চার মধ্য দিয়ে এ দেশে শবেবরাত পালনের ঐতিহ্য একটা নিজস্ব উৎসবের রূপ ধারণ করেছে এবং সমাজের সর্বস্তরেই তা উদযাপিত হচ্ছে।
হাদিসে শবেবরাতের গুরুত্ব সম্পর্কে অনেক উল্লেখ রয়েছে। মিশকাত শরিফে হজরত আলী (রা.) হতে বর্ণিত এক হাদিসে বলা হয়েছে, রাসুলে কারিম (সা.) বলেছেন, ‘শাবানের ১৫তম রাতে তোমরা অধিক হারে আল্লাহর ইবাদত করো। অতঃপর দিনের বেলা রোজা পালন করো। সেদিন আল্লাহতায়ালা সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে প্রথম আকাশে অবতীর্ণ হন এবং আহ্বান করতে থাকেন, আছে কি কোনো ক্ষমা প্রার্থনাকারী, আমি তাকে ক্ষমা করব; আছে কি কোনো রিজিক অন্বেষণকারী, আমি তাকে রিজিক দান করব; আছে কি কেউ বিপদগ্রস্ত, আমি তাকে বিপদমুক্ত করব। এমন আরও বিষয়ে কেউ প্রার্থনাকারী আছো কি? আমি তা সবই তোমাদেরকে দান করব। আল্লাহতায়ালা এভাবে সুবহে সাদিক পর্যন্ত আহ্বান করতে থাকেন।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: