ঢাকা | শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ফণিতে ৬৩৬৩ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি

Akbar | প্রকাশিত: ৭ মে ২০১৯ ১৪:২৩

Akbar
প্রকাশিত: ৭ মে ২০১৯ ১৪:২৩

ঢাকা: কৃষিমন্ত্রী মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় ফণির প্রভাবে ৩৫ জেলার প্রায় ৬৩ হাজার ৬৩ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক মূল্য ৩৮ কোটি ৫৪ লাখ ২৫০০ টাকা।

এসব ফসলের মধ্যে রয়েছে ধান, ভুট্টা, সবজি, পাট ও পান।

সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় ফণির প্রভাবে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে মঙ্গলবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

ঘূর্ণিঝড় ফণি ভারতের উড়িশ্যা, পশ্চিমবঙ্গ হয়ে শনিবার সকালে কিছুটা দুর্বল অবস্থায় খুলনা-সাতক্ষীরা অঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ঢাকা-ফরিদপুর অঞ্চল পেরিয়ে সন্ধ্যা নাগাদ এটি লঘুচাপে পরিণত হয়।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশের ৩৫ জেলার ২০৯টি উপজেলার ৬৩ হাজার হেক্টর জমির বোরো, সবজি, ভুট্টা, পাট ও পান ফসলের আংশিক ক্ষতি হয়েছে।

তিনি বলেন, এর মধ্যে ৫৫ হাজার ৬০৯ হেক্টর জমির বোরো ধান, তিন হাজার ৬৬০ হেক্টরের সবজি, ৬৭৭ হেক্টর জমির ভুট্টা, ২ হাজার ৩৮২ হেক্টর জমির পাট এবং ৭৩৫ হেক্টর জমির পানের ক্ষতি হয়েছে।


তিনি আরো বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ১৩ হাজার ৬৩১ জন কৃষকের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার তথ্য সরকারের হাতে এসেছে। কৃষকের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী প্রণোদনামূলক কর্মসূচি হাতে নেয়া হবে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ফণির কারণে নারায়ণগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মুন্সিগঞ্জ, ময়মনসিংহ, শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোণা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, বগুড়া, জয়পুরহাট, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, গাইবান্ধা, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, নড়াইল, চুয়াডাঙ্গা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, শরিয়তপুর, বরিশাল, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি ও পিরোজপুর জেলায় ফসলের ক্ষতি হয়েছে।

এদিকে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ফণির প্রভাবে প্রায় ২২ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গবাদি পশু মারা গেছে ১৭৫টি। প্লাবিত গ্রামের মোট সংথ্যা ৫৯টি, এর মধ্যে কক্সবাজারের ২৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় দুর্গত এলাকায় চার হাজার ৭১টি আশ্রয় কেন্দ্রে ১৬ লাখ ৬৬ হাজার ৪৩ জন আশ্রয় নিয়েছিল।

এছাড়া পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় উপকূলীয় অঞ্চলে ৪ হাজার ৬৬৫ কিলোমিটার বাঁধের মধ্যে ‘ঘূর্ণিঝড় ফণি’ জনিত কারণে ২৪৩টি স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে দুটি বাঁধে বড় ধরনের ক্ষতি হয়। অবশিষ্ট ২৪১টি বাঁধ মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: