
এ বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে মোট পাস করেছে ১৩ লাখ ৩ হাজার ৪২৬ জন শিক্ষার্থী।
পরীক্ষায় পাসের গড় হার ৬৮.৪৫ শতাংশ। জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টায় প্রতিটি শিক্ষা বোর্ড একযোগে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে।
এ বছর দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ১৯ লাখ ৪ হাজার ৮৬ জন শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ৯ লাখ ৫১ হাজার ৬৯৭ জন। তাদের মধ্যে পাস করেছে ৬ লাখ ২৬ হাজার ৯৮১ জন। পাসের হার ৬৫.৮৮ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৬৫ হাজার ৪১৬ জন।
এ বছর পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ছাত্রীর সংখ্যা ৯ লাখ ৫২ হাজার ৩৮৯ জন। তাদের মধ্যে পাস করেছে ৬ লাখ ৭৬ হাজার ৪৪৫ জন। পাসের হার ৭১.০৩ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৭৩ হাজার ৬১৬ জন।
এ বছর সকল শিক্ষা বোর্ডে ছাত্রদের চেয়ে ছাত্রীরা ৩.৭৯ শতাংশ বেশি পাস করেছে এবং ৮ হাজার ২০০ জন বেশি ছাত্রী জিপিএ ৫ পেয়েছে।
এবার ৮ টি বিদেশ কেন্দ্রে ৪২৭ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৩৭৩ জন। পাসের হার ৮৭.৩৫ শতাংশ।
৯ টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩১০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১০ লাখ ৬ হাজার ৫৫৪ জন। পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪ শতাংশ। এই ৯ টি বোর্ডে ১ লাখ ২৫ হাজার ১৮ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েছে।
এ বছর মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে উত্তীর্ণ হয়েছে ১ লাখ ৯৫ হাজার ১১৫ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ৬৮.০৯ শতাংশ। এই শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৬৬ জন শিক্ষার্থী।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ১ লাখ ৩৮ হাজার ২০৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ৭৫৭ জন। পাসের হার ৭৩.৬৩ শতাংশ। এ বোর্ডে ৪ হাজার ৯৪৮ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েছে।
এ বছর ঢাক বোর্ডের পাসের হার ৬৭.৫১ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ৭৭.৬৩ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ড পাসের হার ৬৩.৬০ শতাংশ, যশোর বোর্ডে পাসের হার ৭৩.৬৯ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার ৭২.০৭ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে পাসের হার ৫৬.৩৮ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৬৮.৫৭ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৬৭.০৩ শতাংশ, ময়মনসিংহ বোর্ডে পাসের হার ৫৮.২২ শতাংশ, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৬৮.০৯ শতাংশ এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পাসের হার ৭৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
এ বছর ৯৮৪ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শতভাগ পাস করেছে।
আজ দুপুরে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সভাকক্ষে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবির বলেন, ‘যে ফল প্রকাশিত হয়েছে, সেটি প্রকৃত ও সত্য। কোনো ধরনের অতিরিক্ত নম্বর দেওয়ার জন্য কাউকে বলা হয়নি। সামগ্রিকভাবে এবারের ফলে প্রকৃত চিত্র উঠে এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘আগে কী হয়েছে, সেটি আমরা বলব না। তবে, এখন যে তথ্য দিয়েছি, সেটিই প্রকৃত। যা হয়েছে সেটি উপস্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে আমাদের কোনো হাত নেই। আমাদের ওপর মহল থেকে কোনো ধরনের চাপ ছিল না। আমাদের বলা হয়েছে, যে রেজাল্ট হবে, সেটিই দিতে হবে। আমরা পরীক্ষকদের এ অনুরোধ জানিয়েছি। তাদের যথার্থভাবে খাতা মূল্যায়ন করার জন্য বলা হয়েছে।’
এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ উপলক্ষ্যে কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিকতা রাখা হয়নি।
এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ১০ এপ্রিল শুরু হয়ে ১৫ মে পর্যন্ত চলে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: