ঢাকা | শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১
দুর্বলতা ঢাকতেই ডিআইজি মিজান ঘুষ দিয়েছেন

ঘুষ দেওয়া-নেওয়া দুটোই অপরাধঃস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

odhikar patra | প্রকাশিত: ১২ জুন ২০১৯ ২০:০৩

odhikar patra
প্রকাশিত: ১২ জুন ২০১৯ ২০:০৩

 
দুর্বলতা ঢাকতেই ডিআইজি মিজান ঘুষ দিয়েছেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল
 
দুদক কর্মকর্তার সঙ্গে ডিআইজি মিজানের ঘুষ লেনদেনের অভিযোগের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ডিআইজি মিজান ঘুষ কেন দিয়েছেন? নিশ্চয়ই তার কোনো দুর্বলতা আছে। সেই দুর্বলতা ঢাকতেই তিনি ঘুষ দিয়েছেন।

বুধবার দুপুরে পুরান ঢাকার বকশিবাজারে কারা কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত ‘কারা অধিদফতরের উদ্ভাবনী মেলা ও শোকেসিং-২০১৯’ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ঘুষ দেওয়া-নেওয়া দুটোই অপরাধ। ঘুষ কেনো দিয়েছে? নিশ্চয় সে কোনো অপরাধ করেছে। তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তার নিশ্চয় কিছু দুর্বলতা আছে, যা ঢাকার জন্য ঘুষ দিয়েছে। ঘুষ দেওয়া ও নেওয়া যেহেতু সমান অপরাধ। তার আগের অপরাধের বিচার চলছে। নতুন করে যদি ঘুষ দেওয়ার মতো অপরাধ করে থাকেন তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ অপরাধে অবশ্যই তাকে দণ্ডিত হতে হবে।

 

তিনি অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, মন্ত্রী বলেন, ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে এর আগের বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে বিচার এখনও প্রক্রিয়াধীন। এর মধ্যে আবার ঘুষ কেলেঙ্কারি। বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার বিরুদ্ধে ডিপার্মেন্টাল এবং দুদকও ব্যবস্থা নিচ্ছে।

উল্লেখ্য, পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ বেশ কিছু অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষ থেকে অনুসন্ধান করছিলেন খন্দকার এনামুল বাছির। সেই অনুসন্ধান চলার মধ্যেই ডিআইজি মিজান দাবি করেন, তার কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন দুদক কর্মকর্তা বাছির। এ বিষয়ে ডিআইজি মিজান দুদক পরিচালক এনামুল বাছিরের সঙ্গে ঘুষ সংক্রান্ত অডিও ফাঁস করেন।

এছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে গোপন করতে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ আছে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে। দ্বিতীয় স্ত্রী মরিয়ম আক্তারকে প্রভাব খাটিয়ে গ্রেফতার এবং এক সংবাদ পাঠিকা ও এক নারী রিপোর্টারকে যৌন হয়রানির অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। পুলিশের নিয়োগ, বদলিতেও একসময় ভূমিকা রাখতেন তিনি। গ্রেফতার ও মামলা দিয়ে হয়রানি করে টাকা আদায়ের অভিযোগও আছে এই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: