ঢাকা | রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২
হত্যার ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে শরীর থেকে মাথাটি বিচ্ছিন্ন করে

মাদ্রাসা ছাত্রের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার রহস্যের সমাধান

gazi anwar | প্রকাশিত: ২৮ জুলাই ২০১৯ ১৫:১৬

gazi anwar
প্রকাশিত: ২৮ জুলাই ২০১৯ ১৫:১৬

চুয়াডাঙ্গায় মাদ্রাসা ছাত্রের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার রহস্যের সমাধানের কথা জানিয়েছে পুলিশ। এঘটনায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে শিশুটির মাদ্রাসার সুপারকে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে আরও চার শিক্ষককে।

পুলিশ জানায়, শিশুটিকে বলাৎকারের পর হত্যা করে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়া গুজবের সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করেছিলেন মাদ্রাসা সুপার মুফতি আবু হানিফ।

শুক্রবার বিকালে গ্রেফতার দেখানো হয় হানিফকে। ঘটনার দিন গত মঙ্গলবার থেকেই তিনি পুলিশ হেফাজতে ছিলেন।

পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান জানান, বলৎকারের ঘটনা যাতে ফাঁস না হয় এজন্যই শিশুটিকে গলাটিপে হত্যা করা হয়। আর ঘটনাটি ভিন্নখাতে দেওয়ার জন্যই সুকৌশলে শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করা হয়। যাতে একে ‘ছেলেধরা’ গুজব বলে চালিয়ে দেওয়া যায়।

মাদ্রাসা সুপার আবু হানিফ জামায়াতের একজন সক্রিয় কর্মী। ২০১৩ সালে দামুড়হুদাতে পুলিশের ওপর হামলা মামলার আসামি ছিলেন তিনি।

আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান মুন্সি জানান, মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রকে কিছুদিন ধরে বলৎকার করে আসছিলেন মাদ্রাসা সুপার আবু হানিফ। বিষয়টি ওই ছাত্র অন্যদের জানিয়ে দেওয়ার কথা বললে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তিনি।

মাদ্রাসার অদূরে একটি আম বাগানে নিয়ে গলাটিপে খুন করা হয় শিশুটিকে। এরপর হত্যার ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে শরীর থেকে মাথাটি বিচ্ছিন্ন করে পাশের একটি পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়।

তদন্ত কর্মকর্তা শেখ মাহবুবুর রহমান জানান, পদ্মা সেতু নির্মাণে মানুষের মাথা লাগবে বলে ছড়িয়ে পড়া গুজবকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেন মাদ্রাসা সুপার। ভেবেছিলেন তিনি শিশুটির মাথা আলাদা করলে সবাই একে অন্য ঘটনা হিসেবে ধরে নেবে। আর তিনি পার পেয়ে যাবেন।

উল্লেখ্য, হত্যাকাণ্ডের মাস ছয়েক আগে আলমডাঙ্গা উপজেলার কয়রাডাঙ্গা গ্রামের নুরানি হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় ভর্তি হয় শিশু আবির হোসেন (১১)।সেখানকার এতিমখানায় থাকত সে।নিহত আবির ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার খালিশপুর গ্রামের প্রবাসী আলী হোসেনের ছেলে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: