ঢাকা | মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
কোরবানির পরে যে ১০টি কাজ আমাদের সকলের অবশ্যই করতে হবে

আমাদের অধিকার রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের ই

odhikar patra | প্রকাশিত: ১১ আগস্ট ২০১৯ ১৫:০৭

odhikar patra
প্রকাশিত: ১১ আগস্ট ২০১৯ ১৫:০৭

১. প্রাণী জবাইয়ের পর পুরোপুরি রক্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তাড়াহুড়ো করে জবাইয়ের সঙ্গে সঙ্গে মাংস কাটা যাবে না। এ ধরনের মাংস মোটেও স্বাস্থ্য সম্মত নয়, কারণ রক্তে নানা ধরনের জীবাণু থাকতে পারে।
 
২. ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে চামড়ার ক্ষতি ও গুণগত মান নষ্ট হয়ে থাকে। ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে পশুর চামড়াকে রক্ষা করতে বর্তমান বিশ্বে সাধারণত ড্রাই ও সল্ট ট্রিটমেন্ট ও ফ্রিজিং করে চামড়া সংরক্ষণ করা যেতে পারে। 
 
৩. কোনো এলাকার লোকজন বিভিন্ন স্থানে কোরবানি না দিয়ে কয়েকজন মিলে একস্থানে কোরবানি করতে পারলে ভালো হয়। 
 
৪. কোরবানির জায়গাটি যেন খোলামেলা হয়। এতে করে বর্জ্যের গাড়ি পৌঁছানো সহজ হবে।
 
৫. কোরবানির পর পশুর রক্ত ও তরল বর্জ্য খোলা স্থানে রাখা যাবে না। এগুলো গর্তের ভেতরে পুঁতে মাটিচাপা দিতে হবে। রক্ত মাটি থেকে সরানো সম্ভব না হয়, তা হলে পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
 
৬. কোরবানির বর্জ্য পলিথিনে করে রেখে দিতে হবে, যাতে ময়লা পরিবহন দ্রুততার সঙ্গে করা যায়। যারা পলিথিন পাবেন না, তারা এ রকম পলিথিন কিনে ময়লা রাখতে পারেন। পশুর হাড়সহ শক্ত বর্জ্যগুলোও পলিথিনে দিয়ে দেয়া ভালো।
  
৭. নাড়িভুঁড়ি ও যেকোন বর্জ্য কোনোভাবেই পয়ঃনিষ্কাশন নালায় কিংবা রাস্তায় ফেলা যাবে না।
 
৮. যারা চামড়া কিনবেন, তারা কোনো বদ্ধ পরিবেশে চামড়া পরিষ্কার না করে এমন খোলামেলা স্থানে করতে পারেন, যেখানে ময়লা জমে দুর্গন্ধ হবে না। আর চামড়ার বর্জ্য অপসারণের জন্য জমিয়ে রাখতে হবে।
 
৯. কোরবানির পশুর বর্জ্য নিজের উদ্যোগে পরিষ্কার করাই ভালো।
 
১০. সবশেষে , রক্ত ও বর্জ্যযুক্ত পানি জামিয়ে রাখা যাবে না, এতে করে ডেঙ্গু মশার বসস্থান তৈরি হতে পারে।
 
 ঈদ আমাদের জীবনে আনন্দের, আমাদের কাজের জন্য যাতে আমরাই পরে অসুবিধায় না পড়ি, এটা আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। দেশটা আমাদের সবার, সবাই নিজেদের জায়গা থেকে পরিষ্কার রাখলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মই ভাল পরিবেশে বড় হবে, সুস্থ থাকবে প্রতিটি প্রান। অনাবিল আনন্দে ভরে উঠুক আমাদের সকলের ঈদ।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: