
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন খেলায় সাফল্য অর্জনকারী খেলোয়াড়দের উপহার তুলে দিয়ে খেলাধুলার প্রসারে বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার গণভবনে সফল খেলোয়াড়দের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, “খেলাধুলার প্রসার ঘটাতে যা যা করণীয় আমাদের সরকার, আওয়ামী লীগ সরকার তা করবে।
“…খেলাধুলা, সংস্কৃতি চর্চা কেউ এককভাবে করতে পারে না। এখানে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন। সাথে সাথে বিত্তশালী ব্যক্তি যারা আছেন, তাদের আমি আহ্বান করব, তারাও সহযোগিতা করবেন, তারাও এগিয়ে আসবেন।”
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল, মহিলা ক্রিকেট দল, মহিলা ফুটবল দল, অনূর্ধ্ব ১৪ ফুটবল দল, বধির ক্রিকেট দল, বাংলাদেশ স্পেশাল উইন্টার অলিম্পিক দল, পুরুষ ও মহিলা তীরন্দাজ দল, রোলার স্কেটিং দল, মহিলা ও পুরুষ হ্যান্ডবল দল, হকি দল, শুটিং দল, ভারোত্তলন দল, ভলিবল দল ও জুনিয়র মহিলা ব্যাডমিন্টন দলের খেলোয়াড়দের পদক ও চেক দেন প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়া দক্ষিণ এশিয়া গেমসে ভারোত্তলনে সোনাজয়ী মাবিয়া আক্তার, সাঁতারে সোনাজয়ী মাহফুজা আক্তার শীলা এবং এয়ারগানে সোনাজয়ী শাকিল আহমেদের হাতে ফ্ল্যাটের চাবি তুলে দেন তিনি।
সুইমিং ফেডারেশনের উন্নয়নে ফেডারেশনের সভাপতি অ্যাডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমেদ এবং হকি ফেডারেশনের উন্নয়নে সভাপতি এয়ার মার্শাল আবু এশরারের হাতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দেওয়া এক কোটি টাকার দুটি পৃথক চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশ ওয়ান ডে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা এবং টেস্ট ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের হাতে বিসিবির দেওয়া এক কোটি টাকার চেকও তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শ্রীলঙ্কা সফরে সাফল্যের জন্য ক্রিকেট দলকে এই অর্থ দেওয়া হয়।
বিসিবির পক্ষ থেকে ১০ লাখ টাকার চেক দেওয়া হয় অনূর্ধ্ব ১৬ মহিলা ফুটবল দলকে। প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে এই চেক নেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন।
প্রধানমন্ত্রী চেক বিতরণ করে তার বক্তব্যের শুরুতেই সবাইকে বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “আপনারা সকলে এখানে উপস্থিত হয়েছেন, আমি মনে করি গণভবনের মাটি ধন্য হয়েছে।
“আমি চেয়েছিলাম, বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে সবার হাতে একটু ক্ষুদ্র উপহার তুলে দেব।” আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাফল্য অর্জনকারী খেলোয়াড়রা বাংলাদেশের জন্য সম্মান বয়ে এনে মেধার পরিচয় দিয়েছেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, “সকলে মিলে আপনারা বাংলাদেশকে একটা সম্মানজনক জায়গায় নিয়ে গেছেন।”
লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তাছাড়া একটা জাতি সুস্থভাবে গড়ে উঠতে পারে না। “প্রতিটি ক্ষেত্রে একটু সুযোগ দিলে আমাদের ছেলে-মেয়েরা যে সোনার ছেলে-মেয়ে, তা প্রমাণ করতে পারে।”
তিনি বলেন, “যে সুপ্ত মেধা রয়েছে আমাদের সেগুলো খুঁজে বের করতে হবে, বিকশিত করবার সুযোগ দিতে হবে।”
অনুষ্ঠানে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেণ শিকদার, যুব ও ক্রীড়া উপ-মন্ত্রী আরিফ খান জয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জাহিদ আহসান রাসেল এবং বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: