ঢাকা | মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২

যে কারণে ভন্ডুল হলো ক্যাম্প ডেভিডে তালেবানের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের গোপন বৈঠক

odhikar patra | প্রকাশিত: ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৭:০৫

odhikar patra
প্রকাশিত: ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৭:০৫

 

তালেবানের গাড়ি বোমা হামলায় কাবুলের এই সুরক্ষিত এলাকায় ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।তালেবানের গাড়ি বোমা হামলায় কাবুলের এই সুরক্ষিত এলাকায় ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

আফগানিস্তানে তালেবানের আক্রমণে একজন মার্কিন সৈন্য নিহত হওয়ার পর সংগঠনটির সাথে শান্তি আলোচনা বাতিল করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

গত সপ্তাহেই মার্কিন আলোচকরা তালেবানের সাথে একটি খসড়া শান্তি চুক্তির ব্যাপারে একমত হয়েছিলেন ।

কিন্তু এর মধ্যেই তালেবান স্বীকার করে যে, কাবুলে গত বৃহস্পতিবার যে আক্রমণে একজন মার্কিন সৈন্য সহ ১২ জন নিহত হয় - সেটি তারাই চালিয়েছে।

এর পরই টুইটারে বার্তা দিয়ে মি. ট্রাম্প বলেন, তার সাথে রোববারই ক্যাম্প ডেভিডে তালেবানের শীর্ষ নেতাদের সাথে এক গোপন বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঐ হামলার পর তিনি তা বাতিল করে দিয়েছেন।

আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানিও বলেছেন, তালেবানকে অবশ্যই যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে।

গত এক বছর ধরেই মার্কিন আলোচকদের সাথে তালেবানের শান্তি আলোচনা চলছিল।

আফগান সরকারকে বাইরে রেখেই তালেবানের সাথে ওই আলোচনা চালাচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্র - কারণ প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানিকে তালেবান 'আমেরিকার হাতের পুতুল' বলে মনে করে।

গত সপ্তাহেই একটি খসড়া শান্তি চুক্তির ব্যাপারে দু'পক্ষের আলোচকরা একমতও হয়েছিলেন । মনে করা হচ্ছিল যে দু'পক্ষ চুক্তি স্বাক্ষরের দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছে।

কিন্তু এখন তা আবার অনিশ্চিত হয়ে পড়লো।

কাতারে তালেবানের প্রতিনিধিরা শান্তি আলোচনায় যোগদান করছেন।কাতারে তালেবানের প্রতিনিধিরা শান্তি আলোচনায় যোগদান করছেন।

 

 

গত বৃহস্পতিবার কাবুলে তালেবানের চালানো এক গাড়ি বোমা আক্রমণে একজন মার্কিন সৈন্যসহ ১২ জন নিহত হওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শান্তি প্রক্রিয়া বাতিল করে দেন।

মি. ট্রাম্প তার টুইট বার্তায় লেখেন, রোববার ক্যাম্প ডেভিডে তার সাথে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি ও ঊর্ধ্বতন তালেবান নেতৃবৃন্দের এক গোপন বৈঠক হবার কথা।

কিন্তু তালেবান ওই আক্রমণে চালানোর কথা স্বীকার করার পর সাথে সাথে তিনি ওই বৈঠক বাতিল এবং শান্তি আলোচনা বন্ধ করে দিয়েছেন।

দোহায় তালেবানের রাজনৈতিক অফিসের একটি সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে যে মি. ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনার জন্য তারা এক জরুরি অভ্যন্তরীণ বৈঠকে বসতে যাচ্ছে।

অবশ্য শান্তি আলোচনা যখন চলছিল তখনও তালেবান আফগান ও বিদেশি সৈন্যদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালানো বন্ধ করে নি।

জালমে খলিলজাদ, আফগানিস্তানের জন্য বিশেষ মার্কিন দূত।জালমে খলিলজাদ, আফগানিস্তানের জন্য বিশেষ মার্কিন দূত।

ঐ শান্তি চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র ২০ সপ্তাহের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে ৫,৪০০ সৈন্য প্রত্যাহার করে নিতো। আফগানিস্তানে এখন যুক্তরাষ্ট্রের ১৪,০০০ সৈন্য রয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের টুইটের পর আশরাফ ঘানি বলেছেন, সত্যিকারের শান্তি তখনই সম্ভব যখন তালেবান যুদ্ধ বন্ধ করবে এবং আফগান সরকারের সাথে সরাসরি আলোচনা করতে রাজি হবে।

তালেবান-মার্কিন শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্ক ছিল। কিন্তু অনেকে এ নিয়ে আশাবাদীও হয়েছিলেন।

এই প্রক্রিয়া বাতিল হয়ে যাওয়ার খবরে কাবুলের এক মহিলা বিবিসিকে বলেন, "কেন একজন আমেরিকানের মৃত্যুর জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এ প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিলেন? এত যে আফগানের মৃত্যু হয়েছে তাদের জীবনের কি তাহলে কোন দাম নেই?"

BBC 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: