ঢাকা | মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২
ভারতীয় সরকারের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে কাশ্মীরিদের জীবন। 

কাশ্মীর: ভারত-পাকিস্তানের অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ চলছেই

odhikar patra | প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৫:০৮

odhikar patra
প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৫:০৮

 

 
 

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের বৈঠকে কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে। সেই অভিযোগের বিরুদ্ধে ভারতের অভিযোগ, পাকিস্তান যেসব কথা বলেছে তা ‘মিথ্যা’। কাশ্মীর ইস্যু একান্তই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।

সংবিধান থেকে ৩৭০ ও ৩৫ (ক) অনুচ্ছেদ বাতিলের পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে মানবাধিকার কাউন্সিলে ভারতের প্রতিনিধি বিজয় ঠাকুর সিংহ বলেন, “বৈষম্য  দুর করতে এটি একটি সংসদীয় সিদ্ধান্ত।” পাকিস্তানের নাম উল্লেখ না করে বলেন, “বিশ্ব জানে এসব মনগড়া অভিযোগ তৈরি করছে বিশ্ব সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থল, যেখানে জঙ্গি নেতারা বছরের পর বছর ধরে আশ্রয় পাচ্ছে। এমন এক দেশ যারা আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ পরিচালনা করে কূটনীতির অংশ হিসেবে।”

জেনেভায় মানবাধিকার কাউন্সিলের বৈঠকের পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি সাংবাদিকদের বলেন, “ভারত বিশ্বকে দেখাতে চাইছে যে কাশ্মীর স্বাভাবিক। যদি স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরেই আসে, তাহলে কেন আন্তর্জাতিক মিডিয়াকে জম্মু ও কাশ্মীরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।” এসময় মুখ ফসকে কাশ্মীরকে “ভারতের রাজ্য” হিসেবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “সেখানকার পরিস্থিতি যদি স্বাভাবিকই হতো তাহলে কেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সেখানে যেতে দেওয়া হচ্ছে না? কারফিউ তুলে নেওয়ার পর বিশ্ববাসী দেখবে ভারতের কাশ্মীরে কী ঘটানো হয়েছে।”

এর আগে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নিয়ে রাজ্যকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার ভারতের উদ্যোগের বিরোধিতা করে পাকিস্তান বলেছিল, ভারতের একপাক্ষিক এই উদ্যোগের বিরোধিতায় কোনো উদ্যোগ বাদ রাখবে না তারা। ১৪ আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান কাশ্মীরের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে উদযাপনেরও কথাও বলেছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

কাশ্মীর অবরুদ্ধ করে রাখার ব্যাপারে জাতিসংঘে নালিশের  পর বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে বসেছিল নিরাপত্তা পরিষদ। তবে চীন ছাড়া আর কোনো সদস্য দেশের দিক থেকে সেভাবে জোরালো সাড়া পায়নি পাকিস্তান।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: