
ইনজুরির কারণে খেলা, না খেলা ধন্দ্বে থাকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর দূর্দান্ত এক হ্যাটট্রিকে লিথুয়ানিয়াকে উড়িয়ে মূল পর্বে খেলার আশা ভালোভাবে বাঁচিয়ে রাখল পর্তুগাল। নিজেদের মাঠে পরশু ‘বি’ গ্রুপে ম্যাচে ৬-০ গোলে জিতেছে পর্তুগাল। তাদের বাকি তিন গোল করেন বের্নার্দো সিলভা, আফোনসো ফের্নান্দেস ও গঞ্জালো পাসিয়েনসিয়া।
বলের নিয়ন্ত্রণ ও আক্রমণে এগিয়ে থাকা পর্তুগাল ম্যাচের সপ্তম মিনিটে রোনালদোর স্পট কিকে পেয়ে যায় কাঙ্খিত গোলের দেখা। ডি-বক্সের মধ্যে জুভেন্টাসের এই ফরোয়ার্ড ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি। ২২তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ৩৪ বছর বয়সী সময়ের সেরা এই তারকা। ৫২তম মিনিটে দুরূহ কোণ থেকে আফোনসো ফের্নান্দেস এবং চার মিনিট পর গঞ্জালো পাসিয়েনসিয়া বাঁ পায়ের নিখুঁত শটে স্কোরলাইন ৪-০ করেন। ৬৩তম মিনিটে গোল করেন সিলভা। দুই মিনিট পর তার তৈরি করে দেওয়া সুযোগ কাজে লাগিয়ে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন রোনালদো।
পর্তুগালের হয়ে এটি রোনালদোর ৯ম হ্যাটট্রিক। ক্লাব ও ক্যারিয়ার মিলিয়ে ৫৫তম হ্যাটট্রিকের দেখা পেলেন তিনি। এর মধ্যে ৪৬ হ্যাটট্রিক পেয়েছেন ক্লাব ক্যারিয়ারে। তার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসির ক্লাব ক্যারিয়ারে হ্যাটট্রিক সংখ্যাও ৪৬। তবে বয়স ত্রিশ পার করার পর দেশের হয়ে রোনালদো যেন আর বেশি করে জ্বলে উঠছেন! নয়টি হ্যাটট্রিকের মধ্যে ত্রিশতম জন্মদিনের পর পেয়েছেন যে সাত-সাতটি হ্যাটট্রিকের দেখা! জাতীয় দলের হয়ে তারকা এই ফরোয়ার্ডের গোল হলো ৯৮টি। কোনো জাতীয় দলের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ডটি ইরানের কিংবদন্তি আলী দাঈয়ের (১০৯)। ৮৩তম মিনিটে রোনালদোকে তুলে দিয়োগো জোতাকে নামান পর্তুগিজ কোচ। বাকিটা সময় নির্বিঘেœ পার করে দিয়ে বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পর্তুগাল।
পরের ম্যাচে লুক্সেমবার্গের মুখোমুখি হবে পর্তুগাল। আর এক ম্যাচ জিতলেই ইউরোর চূড়ান্তপর্বে নাম লেখাবে দলটি। ৭ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ সেরা হয়ে সবার আগে মূলপর্বে খেলা নিশ্চিত করেছে ইউক্রেন। ১৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা পর্তুগালের মতো মূল পর্বের আশা বেঁচে আছে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে থাকা সার্বিয়ারও।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: