ঢাকা | শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১

মার্কিন সাবমেরিন দক্ষিণ কোরিয়ায়

Admin 1 | প্রকাশিত: ২৬ এপ্রিল ২০১৭ ০০:৩৩

Admin 1
প্রকাশিত: ২৬ এপ্রিল ২০১৭ ০০:৩৩

উত্তর কোরিয়া পরমাণু বা ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাতে পারে—এমন আশঙ্কার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সাবমেরিন দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছেছে। আজ মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ইউএসএস মিশিগান আজ দক্ষিণ কোরিয়ার বুশান নৌঘাঁটিতে পৌঁছায়। সাবমেরিনটি মার্কিন যুদ্ধবিমানবাহী রণতরি ইউএসএস কার্ল ভিনসনের নেতৃত্বাধীন রণতরিবহরে সঙ্গে যোগ দেবে। অংশ নেবে সামরিক মহড়ায়।

দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, পারমাণবিক শক্তিচালিত ইউএসএস মিশিগানে ১৫৪টি টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র আছে। ছোট আকারের একাধিক সাবমেরিন আছে। আছেন ৬০ জন বিশেষ প্রশিক্ষিত সেনা।

কার্ল ভিনসনের নেতৃত্বাধীন রণতরিবহর কোরীয় উপদ্বীপের দিকে রওনা হয়েছে। বহরটি ইতিমধ্যে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে পৌঁছেছে।

কোরীয় উপদ্বীপ অভিমুখে মার্কিন রণতরিবহরের অগ্রসর হওয়ার খবরে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। তারা এই রণতরি ডুবিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে রেখেছে।

উত্তর কোরিয়ার সরকারি ওয়েবসাইটে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র কোরীয় উপদ্বীপে যুদ্ধ শুরু করলে তাদের নিশ্চিহ্ন করে ফেলা হবে।

উত্তর কোরিয়া আজ তাদের সেনাবাহিনীর ৮৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছে। অতীতে এমন আয়োজনে পিয়ংইয়ংকে ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাতে দেখা গেছে।

গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বড় ধরনের সামরিক মহড়া করছে উত্তর কোরিয়া।

দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সংবাদ সংস্থার ভাষ্য, উত্তর কোরিয়া তাদের পূর্ব উপকূলে বড় ধরনের সামরিক মহড়া করছে।

এই প্রতিবেদনের সত্যতা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করেনি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

সিউল বলছে, তারা উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীর গতিবিধি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য তারা প্রস্তুত।

দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনী জানিয়েছে, তারা কোরীয় উপদ্বীপের পশ্চিমের জলভাগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সামরিক মহড়া করছে। এই মহড়ায় শিগগির কার্ল ভিনসনের নেতৃত্বাধীন রণতরিবহর যোগ দেবে।

উত্তর কোরিয়ার বিষয়ে কাল বুধবার হোয়াইট হাউসে ব্রিফ হবে। এই ব্রিফে সব সিনেটকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। একে বিরল ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে সব পক্ষকে সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে চীন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: